বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্ত করার জন্য গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: ফখরুল সাহেবকে বলবো ষড়যন্ত্র আছে, ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আমরা খুব সতর্ক। তবে, নিজেরা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথে যাবেন না। এটাই আপনাদের কাছে প্রত্যাশা।
বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন’ এর সাথে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে ভারতের আসাম রাজ্যের নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতে সেখানকার মন্ত্রীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন: বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্ত করার জন্য গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি, আসামে এনআরসিতে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষকে ভারতে রাখা হবে না বলে রাজ্যর দায়িত্বশীলদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য এবং গতকাল কলকাতায় এসে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি’র পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করার ঘোষণা; কিভাবে দেখছে সরকার।
জানতে চাইলে ক্ষমতাসীনদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা বলেন: আমরা যখন ভারত সরকারের কাছে, এ বিষয়ে তাদের মন্তব্য জানতে চাই; ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় যেটা বলে গেছেন এবং ভারত সফরকালেও আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তারা যেটা বলেছেন, এ থেকে আমরা যেটা পেলাম; সেটা হচ্ছে এ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কোন কারণ নেই। আমরা এখন পর্যন্ত তাদের কথায় আশ্বস্ত থাকছি, তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি আরও বলেন: বিচ্ছিন্ন ভাবে ভারতে কে কী বক্তব্য দিলো সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। ভারত সরকারের কাছ থেকে আমাদের যা জানানো হয়েছে আমরা আপাতত তার বাইরে যেতে চাই না। আমরা এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি নিয়ে যা জানি তা হচ্ছে, অন্তত চার মাস এটা অ্যাপিলের পর্যায়ে থাকবে। এরপর যাচাই বাছাইয়ের বিষয় আছে। তাই আমি মনে করি না এটা নিয়ে এখনই শেষ কথা বলার সময় এসেছে। ফখরুল সাহেবকে বলবো ষড়যন্ত্র আছে, ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আমরা খুব সতর্ক। তবে, নিজেরা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথে যাবেন না। এটাই আপনাদের কাছে প্রত্যাশা।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এনআরসি ইস্যুতে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন: অবশ্যই জাতিসংঘের সাইড লাইনে যখন দুই রাষ্ট্রপ্রধান বসবেন এটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। এটা তো আর আমি জানি না। সেটা দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা থেকেই আসবে। কিছু তাৎক্ষণিকও আসে। কাজেই এ বিষয় নিয়ে আগাম মন্তব্য করা সমীচিন নয়। তবে যে ইস্যু গুলো বার্নিং বলে মনে করা হচ্ছে, সে সব ইস্যু অবশ্যই আলোচনায় আসবে।