মেয়েদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় পুঁজি আনতে পারেনি বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে কেবল ১২৬ রানে পৌঁছাতে পেরেছে টিম টাইগ্রেস।
রোববার কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা লাল-সবুজের দল শামিমা সুলতানার দুই বাউন্ডারিতে প্রথম ওভারে তোলে ৮ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ঘটে বিপত্তি। রানাসিংহের বল মুর্শিদা খাতুনের ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট ফাইন লেগে যায়। অলসভাবে দৌড়ানোর খেসারত দেন মুর্শিদা। লঙ্কান রানাবিরার সরাসরি থ্রোতে হন রানআউট। খুলতে পারেননি রানের খাতা।
শুরুতে উইকেট হারালেও চাপে পড়তে দেননি শামিমা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রান বাড়াতে থাকেন। তৃতীয় ওভারে সুগন্ধিকা কুমারীর বলে টানা তিন চার মারেন। পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে মারা চারগুলো ছিল দর্শনীয়।
বড় ইনিংস খেলার সম্ভাবনা অবশ্য নিজেই শেষ করেন শামিমা। রানাসিংহের করা অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন। তার আগে ১৩ বলে ৪ চারে করে যান ২০ রান।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ২ উইকেট হারালেও ৪৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়েন সোবহানা মোস্তারি এবং অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৩২ বলে ৫ চারে ২৯ রান করা মোস্তারিকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন চামিরা আতাপাত্তু।
৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ১ উইকেটের বেশি না হারালেও ৪৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি জ্যোতির দল। কমে যায় রানের গতি। ১৬তম ওভারে রানাসিংহের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টাইগ্রেস অধিনায়ক। ৩৪ বলে করে যান ২৮ রান। একই ওভারে লতা মন্ডল ১১ রান করে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে ফিরলে বিপদ বাড়ে।
পরের ওভারে হাস্যকরভাবে রানআউট হন ঋতুমনি, ২ রান করে। বল ঠেলেই দৌড় দিয়েছিলেন, কিন্তু বল একদিকে ফিল্ডারের হাতে, আর তিনি অন্যমনস্ক হয়ে ভিন্ন দিকে তাকিয়ে দৌড়ান। তখন কুমারীর সরাসরি থ্রোতে ক্রিজ ছাড়েন।
এরপর চলতে থাকে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। দিলহরির হাতে মিড উইকেটে ধরা পড়েন ৫ রান করা স্বর্ণা আক্তার। ৮ রানে আউট হন নাহিদা আক্তার।
ইনিংসের শেষ বলের আগের ৮৪ বলে বাংলাদেশ কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি। শেষ বলে বাউন্ডারি হলেও বাই-য়ের সংকেত দেন আম্পায়ার। রানের ধীরগতিতে ১২৬-এর বেশি ওঠেনি।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে রানাসিংহে তিনটি, আতাপাত্তু দুটি এবং রানাবিরা নেন একটি উইকেট।