একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পৃথিবীর ইতিহাসের সচেয়ে কলঙ্কিত নির্বাচন দাবি করে এমন নির্বাচন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন: আজ আমি আওয়ামী লীগ সম্পর্কে যা বলছি তা অন্তরের অন্তস্থল থেকে বলছি। আওয়ামী লীগ আর কখনো জনগণের সমর্থন নিয়ে কোনো নির্বাচনে জয়যুক্ত হতে পারবে না। চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে পারে। প্রশাসন নিয়ে ভোট চুরি করতে পারে। কিন্তু জনগণের কোনো ভোট পাবে না৷
বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন: এই নির্বাচনে ক্ষতি হয়েছে দেশের, জনগণের। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে গেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার। এরপর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ কেননা, শেখ হাসিনাকে মানুষ গালি দিলে বঙ্গবন্ধুর গায়ে লাগে৷ সেই জন্য আমি খুবই বেদনাহত হচ্ছি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন: এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেলো। এই দেশের জনগণের মন থেকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ধুয়ে মুছে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে শেখ হাসিনার।
তিনি বলেন: ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি কলঙ্কিত হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাতে সব কেন্দ্রে বাক্স ব্যালট ভর্তি করা হয়েছে, তা ধ্রুব সত্য। ভাড়া করা পর্যবেক্ষকরা বলেছে, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আসলে এই নির্বাচন অস্বভাবিক কারচুপরি ও ত্রুটি ভরা। পৃথিবীর সবচেয়ে কলঙ্কিত নির্বাচন।
‘কোনো নির্বাচনে আমি এমন নির্লিপ্ত আচরণ প্রশাসনকে দেখিনি। এভাবে কারচুপি হবে তা ভাবিনি। আমরা এটা বুঝিনি যে পা থেকে মাথা পর্যন্ত একেবারে চরিত্রহীন, বিবেক বিবর্জিত হবে।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন: এই বিজয় আগামী অল্প দিনের মধ্যে সবচেয়ে নিন্দার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। অতিরিক্ত খেলে হজম হয় না। এতো অতিরক্ত কারচুপি হলে বিশ্বের কোনো আদালতে তা ঠায় হবে না। এই সরকার তার মেয়াদপূর্ণ করতে পারবে না৷ প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনতা কোনো সুফল নয়। নিজেরাই নিজেদের জন্য গলার কাটা হবে।
সরকারকে বিভিন্ন দেশের অভিনন্দন জানানো বিষয়ে তিনি বলেন: একটি নিয়ম হলো একটি সরকার যেভাবেই হোক সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা অভিনন্দন জানায়। কিন্তু সব অভিনন্দন অভিনন্দন নয়।
সেসময় ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী ৭ জনের শপথ নেয়া কখনোই উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেন কাদের সিদ্দিকী।