হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের আট নম্বর গেটে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কাঠমান্ডু এয়ারপোর্টে অবতরণের সময় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহত এবং নিহতদের লাশ দেশে ফেরার সাথে সাথে দ্রুত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে বুধবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত এখনও কোন স্বজন আসে নাই। বিমান কতৃপক্ষ জানিয়েছে, নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহতের স্বজনরা আসবে। তাদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নেপালের কাঠমাণ্ডুতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৮ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন। আহতদের মধ্যে ৮ বাংলাদশি কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে নেপাল সরকার গঠিত কমিশন। দুর্ঘটনার সময় কন্ট্রোল টাওয়ারে দায়িত্বরত ৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইউএস বাংলা’র ফ্লাইটটি অবতরণের সময় বজ্রসহ একটি ঝড় ত্রিভুবন বিমানবন্দর অতিক্রম করছিলো।দুর্ঘটনার সময় আড়াই হাজার ফুট উপরে মেঘের আনাগোনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তথ্যে দেখা গেছে, ফ্লাইটটি অবতরণের সময় বজ্রসহ একটি ঝড় ত্রিভুবন বিমানবন্দর অতিক্রম করছিলো। একই সাথে উত্তর-দক্ষিণমুখী রানওয়ের আড়াআড়ি, পশ্চিম দিক থেকে বাতাস ছিলো – যা এভিয়েশনে ক্রসউইন্ড নামে পরিচিত। এরকম পরিস্থিতি অবতরণ ও উড্ডয়নকে স্বাভাবিকের চেয়ে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।
এদিকে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পর তদন্ত শুরু করেছে নেপাল সরকার। তদন্তে যথাযথ সহায়তার কথা বলেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বাংলাদেশের বিমানমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালসহ সরকারের একটি প্রতিনিধিদল এখন নেপালে। বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ৩ সদস্যের কমিটিও তদন্ত করছে।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে কাঠমান্ডু গেছেন ড্যাশ-এইট উড়োজাহাজটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান বম্বারডিয়ারের ২ কর্মকর্তা।