প্রথম টি-টুয়েন্টির তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচের পাকিস্তানের ব্যাটিং ছিল ঠিক উল্টো। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের অনায়াস জয় এসেছিল টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে। অথচ দ্বিতীয় ম্যাচের একটা সময় প্রথমসারির সাত ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে ব্যাটিংয়ে পুরনো পাকিস্তানকেই মনে করাচ্ছিল। কিন্তু তাদের লেজের ব্যাটসম্যানদের জোরেই সিরিজ নিশ্চিত হল এক ম্যাচ হাতে রেখে।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। প্রথম বলেই ফাহিম আশরাফকে ফেরান ভিকুম সঞ্জায়া। বাকি ছিল ৫ বল। ব্যাটিংয়ে দুই বলার শাদাব খান এবং হাসান আলী। পরের দুই বলে দুজন মিলে নেন ৪ রান। চতুর্থ বলে শাদাব হাঁকান ছক্কা। পরের বলে ২ রান নিয়ে এক বল বাকি থাকতেই জিতে নেন ম্যাচ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে সরফরাজ আহমেদের দল।
টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। শুরুটা মন্দ ছিল না লঙ্কানদের। দলীয় ৪৩ রানের সময় আউট হন ওপেনার দিলশান মুনাবিরা। রানরেট যাই হোক উইকেট ধরে রেখেছিলেন ধানুস্কা গুনাথিলাকা এবং সাদিরা সামারাভিক্রামা। তাদের ৬৩ রানের জুটিতে শতক পার হয়। তবে ৩২ রানে সামারাভিক্রামা ফিরে যাওয়ার পর আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
ফাহিম আশরাফের হ্যাটট্রিকে শেষ আট উইকেটে যোগ করা গেছে মাত্র ১৯ রান। প্রথম পাকিস্তানি আর বিশ্বের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে ছোট ফরম্যাটে হ্যাটট্রিক করেন ফাহিম। আর শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলে থিসারা পেরেরার দল।
লক্ষ্যটা সহজ হলেও অধিনায়ক পেরেরার দারুণ বোলিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল শ্রীলঙ্কা। তবে শেষ ওভারে শাদাবের ৮ বলে করা ১৬ রানের কাছে হেরে যেতে হয় তাদের। সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচটি খেলতে পাকিস্তান যাবে দুদল। ২৯ অক্টোবর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে তারা।