চলতি খরিপ-২ মৌসুমে লক্ষীপুরে ১ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে ঢেঁড়শ আবাদ হয়েছে। বেশি চাষ হয়েছে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল চর গজারিয়াতে।
ঢেঁড়শের ভালো ফলন হয়েছে রামগতি উপজেলার চর আব্দুল্লাহ, চর রমিজ ও আলেকজান্ডার ইউনিয়নে। হেক্টর প্রতি ১০ মেট্রিক টন করে ফলন পেয়েছেন কৃষক। কজন কৃষক বলেন, আগে যেসব জমিতে ধান করতাম এখন করি না। কারণ ধানে লোকসান। ঢেঁড়শে আমরা লাভ পাচ্ছি।
কৃষকরা পাইকারি দরে প্রতি কেজি ঢেঁড়শ বিক্রি করছেন ৪০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে ৬০ টাকা দরে। আরেকজন কৃষক বলেন, পাইকারি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে।
ঢেঁড়শে সরবরাহ সবচেয়ে বেশি হয় শুকনো মৌসুমে। রামগতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুস সোবহান বলেন, এখানে উন্নতমানের ঢেঁড়শের চাষ হয়। বানিজ্যিকভাবে তিনটি ইউনিয়নে ঢেঁড়শের আবাদ হয়। প্রতিদিন ২০-১৫ ট্রাক ঢেঁড়শ ঢাকা সহ সারা দেশে সরবরাহ করে থাকি। ঢেঁড়শ আবাদ করে এলাকার মানুষ আর্থিভাবে যথেষ্ট লাভবান হয়েছে।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই অঞ্চলের উৎপাদিত ঢেঁড়শ রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।