ভৌগলিক কারণে হোক, ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই হোক, মানবিক কারণে হোক, কিংবা অন্য যে কোনো কারণেই হোক, রোহিঙ্গারা কাতারে কাতারে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আশ্রয় নিচ্ছে। প্রথম দিকে কিছু দোটানা থাকলেও অনেক ঝুঁকি, সংকটের আশঙ্কাকে অবজ্ঞা করে শেখ হাসিনার সরকার রোহিঙ্গা-শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। এটা খুব বড় একটা সাহসী সিদ্ধান্ত। এর পরিণাম কী হবে, এ জন্য বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে কতটা মূল্য গুণতে হবে, সে প্রশ্ন থাকছেই।
এর মধ্যে শুরু হয়েছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানামুখী রাজনীতি। এতে করে ভারত-চীনের ভূমিকা যেমন সমালোচিত হচ্ছে, আবার তুরস্কের ভূমিকা এক শ্রেণির মানুষের কাছে বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা সরেজমিন দেখতে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোগান ও সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুফোগলু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। অনেকে এ প্রশ্নও তুলছেন যে, নিজ দেশে কুর্দিদের কচুকাটা করে সেই রক্তে গোসল করা এরদোগানের মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এত আগ্রহ কেন?
বিশ্লেষকরা বলছেন, কারণটা খুবই স্পষ্ট। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইসলামপন্থীদের নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। তার আকাঙ্ক্ষা মুসলিম বিশ্বে সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের পরিবর্তে তুরস্ককে নেতৃত্বের আসনে নিয়ে আসতে। তাই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এরদোগান সোচ্চার হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বউকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তিনি কী আদৌ মিয়ানমারের উপর কোনো ধরনের চাপ তৈরি করতে পারবেন?
যদিও সে সম্ভাবনা খুবই কম। ভারত এবং চীন প্রত্যক্ষভাবে এবং আমেরিকা পরোক্ষভাবে মিয়ানমারের শাসক গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি রোহিঙ্গা রিফিউজিদের ফিরিয়ে দেবেন। চীন সিকিউরিটি কাউন্সিলে ভেটো দিয়েছে। তারা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অ্যাকশন নেয়ার ঘোর বিরোধী।
এছাড়া মুসলমানদের ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে পলিসি তাতে মনে হচ্ছে না যে আমেরিকা এগিয়ে আসবে। আমেরিকার মিডিয়াতে রোহিঙ্গাদের ব্যাপার নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য হচ্ছে না। এ বাস্তবতায় এরদোগানের ভূমিকাকে অনেক বিশ্লেষক ‘নিষ্ফল আষ্ফালন’ হিসেবেই দেখছেন। এরদোগান এটা যে বোঝেন না, তা নয়। তারপরও তিনি সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। এতে করে রোহিঙ্গাদের কোনো লাভ না হলেও মুসলিম বিশ্বে এরদোগানের একটা ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এটাই আপাতত এরদোগানের প্রাপ্তি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে অনেকেই সমালোচনামুখর হয়েছেন। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ‘মানবিকতা’র চেয়ে দেশের স্বার্থকেই বড় করে দেখেছেন মাত্র। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত বাণিজ্যিক ও স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে, এটাই স্বাভাবিক। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে তাকিয়ে ভারত যে অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি নিয়ে এগোতে চাইছে, মিয়ানমার হলো সেই অভিযানের প্রথম স্টপেজ।
আসিয়ান জোটের দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ভারত খুবই আগ্রহী। আর সেই আসিয়ানের সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র হলো এই মিয়ানমার। বিমস্টেক জোটেও মিয়ানমার ভারতের সহযোগী, আর মিয়ানমারের মধ্যে দিয়ে ভারত একাধিক কানেক্টিভিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাইছে। তার একটি হলো, ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় হাইওয়ে চালু করা যে প্রকল্পকে ঘিরে ভারতের অনেক স্বপ্ন।
এছাড়া রয়েছে চীন ফ্যাক্টর।
অং সান সু চি-র ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক উত্তরোত্তর ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সে দেশের বিভিন্ন সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের শান্তি আলোচনায়ও মধ্যস্থতা করছে চীন। মিয়ানমারে চীন কায়াখফু বন্দর গড়ে দিচ্ছে, কুনমিং পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসিয়ে ফেলছে। এ পরিস্থিতিতে ভারত তো আঙ্গুল চুষতে পারে না। ভারত তাই মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে থেকে সে দেশে চীনা প্রভাব খর্ব করে নিজেদের পুরনো বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নেওয়ার একটা দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছে। সেখানে রোহিঙ্গা নির্যাতনের মতো অস্বস্তিকর ইস্যুর ছায়াপাত ঘটুক, ভারত তা অবশ্যই চাইবে না।
তাছাড়া মিয়ানমারের যে রাখাইন প্রদেশে ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকাটা ভারতের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। এ জন্য মিয়ানমার সরকার যদি মেরে-কেটে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে তাহলে ভারতের কোনো ক্ষতি নেই। কারণ প্রায় ৫০ কোটি ডলার খরচ করে এই রাখাইন দিয়েই ভারত বানাচ্ছে ‘কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট প্রোজেক্ট’, যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল আর বঙ্গোপসাগরের মধ্যে সরাসরি সংযোগ গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ কোনোদিন ভারতকে ট্রানজিট দিতে অস্বীকার করলে তার বিকল্পও হবে এই কালাদান প্রকল্প। এই প্রকল্পের কাজ কাজ ভারত অনেকটাই শেষ করে ফেলেছে।
কাজেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভূমিকা নিয়ে ভারত মিয়ানমারের বিরাগভাজন হতে চাইবে না-এটাই স্বাভাবিক। কারণ এরপর কালাদান নদীপথের শেষে গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে মিজোরাম রাস্তা বানানোর কাজ অনেকটাই বাকি।
নিজের স্বার্থ পাগলেও বোঝে! মোদি কেন বুঝবেন না? ফলে নরেন্দ্র মোদি কেন কড়া ভাষায় রাখাইনে ‘জঙ্গি সহিংসতা’র নিন্দা করেছেন, তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না।
মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের শুধু বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমেই নয়, স্থলসীমান্তও রয়েছে প্রায় ১৬৪৩ কিলোমিটার লম্বা। আর এই সীমান্ত অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও মিজোরাম এই চারটি রাজ্যজুড়ে, যার অন্য প্রান্তের গহীন জঙ্গলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনেক জঙ্গিগোষ্ঠীরই ঘাঁটি রয়েছে।
মিয়ানমারের মাটিতে এই জঙ্গি শিবিরগুলোর বিরুদ্ধে ভারত অনেকদিন ধরেই অভিযান চালাচ্ছে। এমনকী বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ভেতরে বেশ কয়েক মাইল ঢুকে পড়েও। মিয়ানমার সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সেটা সম্ভব নয় বলাই বাহুল্য, আর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতেই মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের এই সহযোগিতা বজায় রেখে চলা ছাড়া উপায় নেই। নিরাপত্তা-অর্থনীতিই এই সম্পর্কে তাদের প্রধান বিবেচ্য, রোহিঙ্গাদের জীবনের মূল্য সেখানে নেহাতই গৌণ!
এদিকে গভীর সমস্যায় পড়েছে রোহিঙ্গারা। তাদের অস্তিত্বই আজ ধ্বংসের মুখে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশও আজ ভয়াবহ সংকটে। বাংলাদেশের সেই কূটনৈতিক জোর নেই যার বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। তা ছাড়া মিয়ানমার দীর্ঘসময় ধরে একলা চলে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক চাপকে তারা খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না। নিজস্ব প্রচুর সম্পদ তারা পেয়েছে।
চীন তাদের পক্ষে জাতিসংঘে ভেটো দেয়। রাশিয়া-ভারত-সৌদি আরব বাংলাদেশের প্রায় সব মিত্রই মিয়ানমারের পক্ষে! একাত্তরে ভারত আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল নিপীড়িত জাতি হিসেবে, ধর্মীয় পরিচয়ে নয়। আর রোহিঙ্গাদেরকে আমরা নির্যাতিত মুসলিম হিসেবে আশ্রয় দিচ্ছি। ধর্মের আড়ালে তাদের জাতি পরিচয় ঢাকা পড়ে গেছে।
এর ফলে আন্তর্জাতিক সমর্থন মিলছে না। সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার সরকার অত্যন্ত সফলভাবে রোহিঙ্গাদের গায়ে ‘জঙ্গি’ লেভেল এঁটে দিতে সক্ষম হয়েছে। তাই ছিঁটেফোঁটা ধর্মীয় সহানুভূতি ছাড়া বিশ্ববিবেককে নাড়া দেয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে ১০ লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা থাকে রাখাইন প্রদেশে, ১৪ হাজার বর্গমাইলের এই রাজ্যে তাদের জনসংখ্যার হার ৪২ শতাংশ। অধিকার বঞ্চিত এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুরতা চলছে। এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের নেতা আতা উল্লাহ অনুসারীদের কাছে বার্তা পাঠান প্রত্যন্ত মায়ু পার্বত্য এলাকায় অগ্রসর হতে। অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য দা-কুড়ালের মতো অস্ত্র ধরতে বলেন তিনি।
২৫ আগস্ট ভোরে বিদ্রোহীরা ছুরি, লাঠি, ছোট অস্ত্র ও হাতবোমা নিয়ে অন্তত ৩০টি পুলিশ ও সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় আতা উল্লাহর নেতৃত্বাধীন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা এআরএসএ সদস্যরা। আইনশৃংখলা বাহিনীর অন্তত ১২ জন সদস্য তাতে নিহত হন। এরপর থেকে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় ভয়াবহ নিপীড়ন ও নির্যাতন৷ মিয়ানমার সরকার ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বলে ঘোষণা করেছে।
মিয়ানমারের আর্মিদের রোহিঙ্গারা হচ্ছে জঙ্গি এবং দেশের এক নম্বর শত্রু। কাজেই তারা এই শত্রু নিধনে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাচ্ছে। বিবিসির খবর মতে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত এক সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রায় তিন হাজার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের অভিযোগ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা এআরএসএ রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে! তবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বলছেন, সেখানকার সেনাবাহিনী তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দিতেই বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, নির্বিচারে হত্যা করছে রোহিঙ্গাদের।
এই নির্যাতনের ফলে বাংলাদেশের ভেতর মিয়ানমার থেকে পালানো রোহিঙ্গাদের ঢল অব্যাহত রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ধারণা করছে, শরণার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদের আশ্রয় বা খাবার জোগাড়ে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের এই স্রোত কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এই লাখো রোহিঙ্গার আশ্রয় এবং খাদ্য সাহায্যের ব্যবস্থাপনা কীভাবে কি হবে তা নিয়ে সুধীমহলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্রামে বা লোকালয়েও আশ্রয় নিচ্ছেন। এবং তাতে নিরাপত্তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পার্বত্যাঞ্চলে পথে-ঘাটে, স্কুল মাদ্রাসা বা পরিত্যক্ত জায়গায় রোহিঙ্গারা যে যেভাবে পারে আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজারে এমন অবস্থা হয়েছে যে, রাস্তা-ঘাটসহ সর্বত্র শুধু রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা। তাদের নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা যাচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের অনেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ঘরে ঘিয়ে খাবার চেয়ে নিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরির কথা বলা হয়েছে। তবে সেই কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। আর যাবেই বা কীভাবে?
সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বানের পানির মতো রোহিঙ্গারা এসেছে এবং আসছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তালিকা করা বা অন্য বিষয়গুলোতে ঘাটতি রয়েই যাচ্ছে।
রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় জঙ্গিবাদ তৈরির ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। মিয়ানমারকে যদি আমরা রোহিঙ্গা-ইস্যুতে ভিলেন হিসেবে ধরে নিই তাহলে বাংলাদেশ এই সমস্যার সবচেয়ে বড় ‘ভিকটিম’। বাংলাদেশকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মানবিক বিপর্যয়, শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়দান ইত্যাদি অনেক কথাই অনেকে বলছেন। অনেকে অনেক আবেগও প্রকাশ করছেন। কিন্তু বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তবতার নিরিখে। জাতীয় স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে। তা না হলে ‘রোহিঙ্গা-রাজনীতি’ আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)