রোহিঙ্গা সমস্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের অসহযোগিতার কথা জাতিসংঘকে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
নিইউয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠকে এই বিষয়ে অবহিত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।
রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুর রহমানের জন্মতবার্ষিকী উদযাপনে জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয় বৈঠকে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে জানায়, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট তুলে ধরেন। এই সময় জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিলম্বের জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বর্তমানে ১.২ মিলিয়ন বা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। যাদের অধিকাংশই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের জাতিগত নিধন শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে পাড়ি জমায়। রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হওযার কথা ছিলো গত বছরের জানুয়ারিতে। পরে তা ১৫ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা হয়। কিন্তু সে প্রক্রিয়া আজ অবধি শুরু হয়নি।
শাহরিয়ার আলম এই সময় রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা গুতেরেসকে জানান।
বৈঠকের এক পযায়ে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের প্রধান ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান।
এই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন গুতেরেস। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদারতাও মানবিক সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও তার জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও জলবায়ু সংকট সমাধানে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্যও জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।