কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চাপের মুখে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মং মং সোয়েকে বরখাস্ত করেছে মিয়ানমার।
তবে হত্যাযজ্ঞের জবাবদিহিতার চাপে পড়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে – অনেকে এমনটা আশা করলেও সেনাবাহিনীর দাবি, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নৃশংসতা নয়, বরং ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রাখাইনে পুলিশ ও সেনাচৌকিতে রোহিঙ্গা ‘জঙ্গিদের’ হামলা সামাল দিতে ‘দুর্বলতা’ দেখানোর দায়ে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সোমবার মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ মিন অং হ্লাইংয়ের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংস নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সোমবার মং মং সোয়েসহ সেনাবাহিনীর ৫ জেনারেল, এক বর্ডার গার্ড জেনারেল এবং এক পুলিশ কমান্ডারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ।
এর কিছু পরই মেজর জেনারেল মং মংকে বরখাস্ত করা ও এর পেছনে কারণসহ বিবৃতি পোস্ট করা হয়। তবে বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
এছাড়া নিষিদ্ধ ৭ জনের একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অং কিয়াও জাও’কে গত ২২ মে অসুস্থতার কারণে পদত্যাগের অনুমতি দেয়া হয় বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, সোমবারের নিষেধাজ্ঞার আগেও গত ফেব্রুয়ারিতে অন্য আরেক প্রসঙ্গে মং মংয়ের ওপর অবরোধ আরোপ করেছিল কানাডা।
এছাড়াও গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র তার নিষিদ্ধ ব্যক্তির তালিকায় এই জেনারেলের নাম যোগ করে। মেজর জেনারেল মং মং সোয়েই একমাত্র সেনা কর্মকর্তা, যাকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার দায়ে শাস্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।