রোহিঙ্গাদের দুর্দশা অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি। তিনি বলেছেন, দেশের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে যেন অতিরঞ্জিত কিছু না করা হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারে মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সু চির অবস্থান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচিত।
সু চি বলেছেন, নির্বাচনে জিতলে প্রেসিডেন্টের ওপরে থেকে তিনিই দেশের নেতৃত্ব দেবেন। আগামী রোববার মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে দেশের হাজার হাজার রোহিঙ্গা ভোট দিতে পারবে না।
গত কয়েক দশকের মধ্যে মিয়ানমারে এবারই সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইয়াঙ্গুনে এক সংবাদ সম্মেলনে সু চি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যাকে অতিরঞ্জিত করা ঠিক হবে না। আমি বলছি না সমস্যাটি ছোট।’ নির্বাচনে বিজয়ী হলে এ ধরনের সব সমস্যা আইনানুযায়ী সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ল স্কুল ৮০ পৃষ্ঠার একটি আইনগত বিশ্লেষণে গত সপ্তাহে জানায়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হয়েছে-এমন প্রমাণ তাদের হাতে আছে। জাতিসংঘ বা অন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেনি।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বিষয়টি সংখ্যাগুরু রাখাইনদের ক্ষুব্ধ করতে পারে। আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোও রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বিপজ্জনক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিতে চেষ্টা চালিয়েছে। ২০১২ সালে এক দাঙ্গায় ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার পর প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।