নানা সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সন্তানের পড়ালেখা নিয়ে চিন্তিত লাখো-কোটি অভিভাবক। প্রযুক্তি আর প্রাচুর্য্যের এই যুগে ফিলিপাইনের এক পথশিশু বদলে দিয়েছে সারাবিশ্বের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। ফাষ্টফুড চেইনশপ ম্যাকডোনাল্ডস’র আলো-ঝলমলে আউটলেটের আলো রাস্তার পাশে এসে পড়েছে, সেই সামান্য আলোতে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত ফিলিপিনো শিশু ড্যানিয়েল।
ড্যানিয়েলের সেই ছবি সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুক-টুইটারে আলোচিত হচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হয়েছে সংবাদ।
ফিলিপাইনের কেবু শহরের ফুটপাতে ম্যাকডোনাল্ডস’র পাশে প্রতিদিন রাতে ৯ বছরের গৃহহীন ড্যানিয়েল পড়ালেখা করে। কাঠের তৈরি ছোট একটি বেঞ্চে সে যখন পড়ালেখা চালিয়ে যায়, তার মা তখন রোজগারের জন্য বাইরে থাকেন।
আগুন লেগে পথশিশু ডেনিয়েলের বাবা মারা যাওয়ার পরে সব হারিয়ে মাসহ ভাইবোনদের নিয়ে ড্যানিয়েলের স্থান হয় রাস্তায়। গৃহহীণ ড্যানিয়েলের পড়ালেখা করা আগ্রহ আর একাগ্রতায় বাধা হতে পারেনি ওইসব প্রতিকূলতা।
জইসি টোরিফ্রেঙ্কা নামে ফিলিপাইনের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী তার ফেসবুকে ড্যানিয়েলের ছবি পোষ্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। ড্যানিয়েলের শিক্ষাগ্রহণের ছবি শুধু জইসিকেই নয়, বিশ্বজুড়ে হাজারো মানুষের মধ্যে পড়ালেখা আর কঠোর পরিশ্রমের প্রতি উৎসাহ ও প্রেরণা জুগিয়েছে।
জইসি তার ফেসবুকে বলেন, এই ছোট শিশুটি থেকে আমি অনেক প্রেরণা পেয়েছি। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পড়া-লেখার প্রতি ড্যানিয়েলের স্পৃহা আমাকে একটি বড় ধরণের ধাক্কা দিয়েছে। জইসির বিশ্বাস, ডেনিয়েলের এই উদাহরন থেকে অনেকেই একটি শিক্ষা পাবেন যে পৃথিবীতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
স্থানীয় একটি ফিলিপিনো সাহায্য সংস্থা ড্যানিয়েলের পরিবারকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। শিশু ড্যানিয়েলের একাগ্রতার উদাহরণ ফিলিপাইনের বিভিন্ন সংবাদপত্র, টিভিতেও প্রচার হয়েছে। বিষয়টি সামনে নিয়ে আসায় মেডিকেল শিক্ষার্থী জইসিও পাচ্ছেন অভিনন্দন।