রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালতের দেয়া ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি (নাদরা) এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্টকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেন।
শুক্রবার দিনশেষে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। জানা যায়, পারভেজ মোশাররফের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বাতিলের পর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে এবং দেশের বাইরে ভ্রমণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
উচ্চমাত্রার রাষ্ট্রদ্রোহিতার এক মামলার শুনানিতে গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের ওই বিশেষ আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মোশাররফের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট বাতিল করার এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাকে গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে দেশের বাইরে তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে ব্যবস্থা নেয়ারও আদেশ দেয়া হয়।
২০০৭ সালের নভেম্বরে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়। স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে ২০১৩ সালের মার্চে পাকিস্তানে ফেরার মাসখানেক পর সাবেক এই সামরিক শাসকের দেশের বাইরে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত।
এর ৩ বছর পর ২০১৬’র মার্চে আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মোশাররফ দুবাই যান। সেই সফর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ফেরেননি তিনি।