রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখী মিছিল পুলিশের বাধার মুখে ছত্রভঙ্গ হয়েছে। এ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
ঘটনায় আহত হয়েছে অন্ততপক্ষে ৬ জন। পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ৪০ বিক্ষোভকারী। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ২ জনকে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির মিছিলটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শাহবাগ শিশুপার্কের সামনে প্রথম বাধার মুখে পড়লেও ব্যারিকেড ভেঙে সেটি এগিয়ে যায়। পরে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে চূড়ান্ত বাধার মুখে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিমুখে যাত্রা করা মিছিলটি শেরাটন মোড় পার হয়ে পরিবাগ এলাকার দিকে যেতেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে।
বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ঘিরে ধরে ধাক্কা দিতে দিতে পিছু হটানোর চেষ্টা করে। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয় এবং মিছিলকারীদের তাড়া করে।
এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় মিছিলটিকে। এসময় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীরা ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। পুলিশ অন্তত ৭/৮ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পূর্বঘোষিত মিছিলটি যাত্রা শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে।
এসময় মিছিলে নেতৃত্ব দেন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. শহিদুল্লাহ, সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সিপিবি নেতা সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ সংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।