হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কিউই মাটিতে এখনো জয়ের মুখ না দেখা টাইগাররা টেস্ট সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে এ ম্যাচে ভালো করতে মরিয়া। ডানেডিনে বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
কিউই কন্ডিশন এমনিতেই অতিথি দলের জন্য কঠিন। বাংলাদেশের জন্য সেটা আরও কঠিন হয়ে গেছে সাকিব আল হাসান না থাকায়। আঙুলে ব্যথা পাওয়া দলের সেরা অলরাউন্ডারকে ছাড়া প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণে পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা। নেপিয়ারে ২৩২ আর ক্রাইস্টচার্চে ২২৬ রানে অলআউট হয়ে দুই ম্যাচেই হেরেছে ৮ উইকেটে।
তবে শেষ ম্যাচ যেখানে হবে সেই ডানেডিনের উইকেটকে বলা হয় ব্যাটিংস্বর্গ। সেই রানের মাঠেই রানে ফেরার আশা করছে টাইগার বাহিনী। ম্যাচের আগেরদিন ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালের উইকেট দেখে বড় রানের আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা
‘আমি যতটুকু জানি ডানেডিনের উইকেট ব্যাট করার জন্য খুব ভালো। এখানে আমরা টেস্ট খেলেছি আগে। সেখানে আমরা ভালো ব্যাট করেছি, যদিও সেটা টেস্ট ছিল। আমার মনে হয় এখানে নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪০ রান তাড়া করে জিতে গিয়েছিল ৪৫ ওভারেই (৩৩৫ রান তাড়া করে জেতে ৫০ ওভারে) । আশা করছি দারুণ ব্যাটিং উইকেট হবে। এটা মাথায় রেখে ভালো পরিকল্পনা করব।’
নেপিয়ার আর ক্রাইস্টচার্চেও উইকেট ছিল ব্যাটিংবান্ধব। ওই দুই ম্যাচে সুযোগ হাতছাড়া করার হতাশা এবার শেষ ম্যাচে কাটাতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘দুই ম্যাচেই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল, কিন্তু আমরা পারিনি। আশা করি কাল টপঅর্ডার রান এনে দেবে।’
গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দুই ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। জিতেছিল এক ম্যাচ, হেরেছিল অন্যটি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গিয়েও হারিয়েছিল কিউইদের। এসব ম্যাচের কন্ডিশন ছিল একই রকম। এবার তাই জেতার আশাটা চওড়া করতে চান মাশরাফী, ‘এখানে কঠিন হলেও সেটা করা সম্ভব। আশা করছি কাল (বুধবার) ভাল খেলতে পারব।’
কিউই পেসারদের বিপক্ষে যাকিছু প্রতিরোধ তা শুধু মোহাম্মদ মিঠুনই করেছেন ৬২ ও ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইনজুরিতে পড়ে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছেন বাংলাদেশ শিবিরে। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও পাঁজরে চোট পেয়েছেন।
সবমিলিয়ে শেষ ম্যাচে একাদশ সাজানোটাই এখন টিম ম্যানেজম্যান্টের বড় দুশ্চিন্তার কারণ। তার উপর যোগ হয়েছে বাড়তি সমস্যা। সিরিয়াল না পাওয়ায় এখনো পর্যন্ত মুশফিক-মিথুনের স্ক্যানই করানো সম্ভব হয়নি!
বাংলাদেশে সাধারণত দ্রুতই স্ক্যান করানো সম্ভব হয়। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। সেখানে ডাক্তার দেখাতে বেশ ঝামেলাই পোহাতে হয়। স্ক্যান করাতে হলে অনেক আগে থেকে সিরিয়াল দিতে হয়! আগেরদিনই মুশফিক-মিথুনের স্ক্যান করানোর কথা ছিল। কিন্তু সিরিয়াল না পাওয়ায় তা আর করা হয়নি।
চোট-ফর্ম যা-ই থাক, টেস্ট সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে শেষ ওয়ানডের দিকেই তাকিয়ে মাশরাফীর দল। মাশরাফী যদিও ফিরে আসবেন ওয়ানডে খেলেই।