চট্টগ্রাম থেকে: বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বেশ আক্রমণাত্মক। ইনিংস সূচনায় তামিম দ্রুত রান তুলে যে মেজাজ এনে দিয়েছিলেন সেটার প্রতিফলন দেখা গেছে অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও। ওভারপ্রতি চারের কাছাকাছি রান তুলে শ্রীলঙ্কার মাথায় ৫১৩ রানের বোঝা চাপিয়েছে টাইগাররা। বড় সংগ্রহকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট চালাচ্ছেন লঙ্কানরাও।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কঠিন পথ পাড়ি দিতে নেমে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা অবশ্য শুরুটা একদমই ধীরগতিতে করেছিলেন। প্রথম ৯ ওভারে ২১ রান। পরের ৬ ওভারে খোলস ছাড়ার চেষ্টা করে তারা, আক্রমণাত্মক হয়ে তুলে নেয় ২৯ রান।
১৫ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে দলীয় ফিফটি স্পর্শ করে দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতিতে যায় অতিথিরা। ফিরে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। রান তোলার গতির সঙ্গে উইকেটও রেখেছে নিরাপদ। কুশল মেন্ডিস ৮০ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১২২ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত। দলীয় সংগ্রহ প্রায় দুইশর কাছাকাছি।
বড় রানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে থিতু হওয়ার নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে শুরুতে উইকেট দিয়েছেন করুনারত্নে। দুই প্রান্ত থেকে প্রথম দুটি ওভার মেডেন পান মোস্তাফিজ ও সানজামুল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে মোস্তাফিজকে বিরতি দিয়ে অধিনায়ক মিরাজকে ডাকেন ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই।
তাতে প্রথম দুই বল ডট দেয়ার পর মিরাজ তৃতীয় বলেই পেয়ে যান সাফল্য। ৯ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই স্লিপে ইমরুলের হাতে ক্যাচ দেন এ ওপেনার।