ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো চার শিশুকে হাইকোর্টের আদেশে তাদের অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বাকেরগঞ্জের ওসি সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানকে টেলিফোনে আদেশ প্রতিপালনের বিষয়টি অবহিত করে জানিয়েছেন, ‘যশোরের পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ৪ শিশুকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে তাদের অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।’
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো চার শিশুকে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
চার শিশুকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ দেখে বৃহস্পতিবার রাতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই শিশুদের জামিন নিষ্পত্তির আদেশ দেন।
সেই সাথে যশোরের জেলা প্রশাসককে পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র হতে ওই শিশুদেরকে রাতের মধ্যেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে তাদের অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।
এছাড়া শিশুদের অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে আদেশ প্রতিপালনের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসারকে ফোনে অবহিত করতে বাকেরগঞ্জের ওসির প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর হাইকোর্টের দেয়া আদেশ রাতেই সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বরিশালের শিশু আদালতের বিচারক, জেলা প্রশাসক, বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বাকেরগঞ্জের ওসিকে টেলিফোনে অবগত করেন। অন্যদিকে গতকাল রাতেই বরিশালের শিশু আদালতের বিচারক ৪ শিশুর জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৬ অক্টোবর বাকেরগঞ্জে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ভিকটিম শিশুটির খেলার সাথী। ৪ অক্টোবর বিকেলে বাগানে খেলার সময় তাকে তিন আসামির সহযোগিতায় এক আসামি ধর্ষণ করে। আসামিদের একজনের বয়স ১১ ও বাকি তিন জনের বয়স ১০ বছর দেখানো হয় মামলায়।
পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর বিকেলে ৪ শিশুকে বাকেরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এরপর বিচারক চার শিশুকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।