পৌরসভা নির্বাচনে এমপিদের প্রচারে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে পাল্টা পাল্টি অবস্থান জানাতে নির্বাচন কমিশনে যায় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। অন্যদিকে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে, বিএনপি আর জাতীয় পার্টি। সিইসি বলছে, সবার দাবি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে সোমবার।
তফসিল অনুযায়ী আর ১ মাস পর পৌরসভা নির্বাচন। অথচ আইন এবং বিধি বিধান হয়ে যাওয়ার পরও হঠাৎ করেই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির নির্বাচন কমিশনে।
প্রথমে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে। তাদের দাবি, সরকারি দলের এমপিরা যেতে চান নির্বাচনী প্রচারে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান জানাতে নির্বাচন কমিশনে এসেছিলাম। আমরা বলেছি, যেহেতু সংসদ সদস্যরা এক্সিটিভ পাওয়ার হোল্ড করে না, আর সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে না। সেহেতু নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করার সংবিধানিক অধিকার তাদের রয়েছে।
পরে বিএনপি নেতা ডক্টর ওসমান ফারুক এর নেতৃত্বে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। নির্বাচনী প্রচারে এমপিরা যাতে না যেতে পারেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিধি পরিবর্তন না করার দাবি তাদের। নির্বাচন ১৫ দিন পেছানোসহ দলের মহাসচিবের মুক্তিও চায় বিএনপি।
তিনি বলেন, আপনি রাস্তার একজন লোককে ডেকে জিজ্ঞাসা করে দেখেন, তারাও বলবে না। আর নির্বাচন কমিশন যদি এ অবস্থান থেকে সরে আসে তাহলে শুধু নির্বাচন কমিশনই নয় সরকারের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এর আগে জাতীয় পার্টি বৈঠক করে সিইসির সঙ্গে। চাওয়া, নির্বাচন ১১ দিন পেছানো। সরকারি দলের হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিও তাদের।
দিন শেষে অফিস ত্যাগের আগে সিইসি জানালেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন না হলে বাধ্য হয়ে আইন ভাঙার পথে হাঁটতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৩০ তারিখই হলো আমাদের শেষ সুযোগ। তা যদি না হয় তাহলে আমাদের আইন ভাঙতে হবে। কাল আমরা নির্বাচন কমিশনে বসবো। তারপরই সিদ্ধান্ত নেবো।
বিএনপির কারাগারে থাকা নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেয়ার বিষয় নির্বাচন এখতিয়ারে নেই বলেও মন্তব্য সিইসির।