তারেক রহমান নাগরিত্ব বর্জন করেননি। রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগে তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই তিনি পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। সে দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার পাসপোর্ট জমা রেখে তাকে ট্রাভেল পারমিট দেয়া হয়েছে বলে জানায় বিএনপি।
দলটি বলছে, বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের অধীনে তারেক রহমানের জীবন নিরাপদ নয়। তাই বিশ্বের অসংখ্য বরেণ্য রাজনীতিবিদ, সকরার বিরোধী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতোই সাময়িকভাবে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং সঙ্গত কারণেই তা পেয়েছেন। কাজেই তারেক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, এই মুহুর্তে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তারেক রহমানের কোনো কাজে লাগছে না যখনই তিনি দেশে ফেরার মতো সুস্থ হবেন তখনই দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতোই পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানাতে এবং তা অর্জন করতে পারবেন। কাজেই রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে জমা রাখার জন্য ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগ থেকে তারেক রহমানের পাসপোর্ট লন্ডন হাইকমিশনে পাঠানোর যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তার দ্বারা কোনো আইন কিংবা যুক্তিতে প্রমাণ হয় না যে, তিনি নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন।।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতা দখলকারী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভুলে ভরা একটি চিঠি দেখিয়ে তারেক রহমান নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এধরনের উদ্ভট ধারণাকে তত্ত্ব কিংবা তথ্য হিসেবে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন কিংবা ফেসবুকে প্রচার রাজনৈতিক মূর্খতা এবং উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মূলত বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগাবন্দি রাখার কারণে দেশের মানুষ যখন সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ, তখন এই পরিস্থিতিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতেই তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারের কৌশল নিয়েছে সরকার।
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ফোসবুকে যে চিঠি প্রচার করছেন তার মধ্যে অসংখ্য ভুল শনাক্ত করে সাংবাদিকদের দেখিয়ে সে চিঠি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি জোর দিয়েই বলেন, তারেক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।