রংপুরের চরাঞ্চলের শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের জীবনে আর্শিবাদ হয়ে এসেছে শিখন স্কুল কার্যক্রম। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পরিচালিত এসব স্কুল শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে তিস্তা নদী বেষ্টিত ইউনিয়নগুলোতে চর রয়েছে প্রায় ৩৫টি। চরের অনেক গ্রামে বিদ্যালয় না থাকায় সেখানকার ১০ হাজারেরও বেশি শিশুকে পায়ে হেঁটে, নৌকায় নদী পার হয়ে যেতে হয় দূরের স্কুলে। এসব শিশুদের জন্যই দূর্গম চরের গ্রামে গ্রামে শিখন স্কুল গড়ে তুলেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস।
শিশু শিক্ষার্থীরা বলেন, আগে বৃষ্টি হলেই স্কুলে যেতে পারতাম না। শিখন স্কুল হওয়াতে আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষিকা বলেন, আমরা যেভাবে চালাচ্ছি এভাবে চালাতে পারলে শিশুরা অনেক উন্নতি করতে পারবে।
দারিদ্র চরবাসী মনে করছে শিশু শিক্ষার এই কার্যক্রম দূর করেছে তাদের সন্তানদের শিক্ষা বঞ্চনা। অভিভাবক বলেন, এই স্কুল হওয়াতে অনেক সুবিধে হয়েছে। এরই মধ্যে এখানে শিক্ষার হার বেড়ে গেছে।
সেভ দ্যা চিলড্রেন এর কারিগরি সহায়তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় রংপুর বিভাগে ৬৭০টি শিখন স্কুলে পড়ছে ১৯ হাজার ৮৮০ জন শিশু। এর মধ্যে শুধু গঙ্গাচড়ার চরে রয়েছে ১০৭টি শিখন স্কুল।
শিখনের এফসি মোঃ মশিয়ূর রহমান, গ্রামের মধ্যে যখন এই রকম একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় তখন গ্রামে পড়াশুনার হার বৃদ্ধি পায়। আর যখন স্কুলটা নিয়মিত হয়, তখন পড়াশুনার মানও বৃদ্ধি পায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিখন স্কুলের মত এমন শিক্ষা কার্যক্রম কমিয়ে আনতে পারে ঝরে পড়া শিশুর হার।