প্রথম দুই ওভারে এলো মাত্র ৫ রান। যেখানে ক্রিস গেইল একাই খেললেন আট বল, করলেন দুই রান। ব্যাটসম্যান গেইল বলেই হয়ত ৮ বলে ২ রানের সমীকরণ মিলছিল না। রংপুর রাইডার্সকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে গেইল পরে হাত খুলতে চাইলেন। পারেননি বেশিক্ষণ টিকতে। বেশিদূর যেতে পারেনি রংপুরও। ঢাকাকে কেবল ১৪৩ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে মাশরাফীর দল।
ঝড় তোলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন গেইল, সেটা বোঝা যায় আন্দ্রে রাসেলের করা তৃতীয় ওভারে। প্রথম ও শেষ বলে দুই ছক্কা মেরে আশা জাগান। আরেকটি গেইল ঝড় দেখার অপেক্ষায় যখন উত্তাল গ্যালারি, তখনই জল ঢেলে দেন রুবেল হোসেন। ১৫ রান করা বাঁহাতিকে ফিরিয়ে ঢাকাকে স্বস্তি এনে দেন টাইগার পেসার।
ষষ্ঠ বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গেইল আর রুশোকে (০) আটকে দিয়ে রংপুর রাইডার্সের রান তোলার চাকা থামিয়ে দেয় ডায়নামাইটসরা।
রংপুরের ইনিংসের শুরু আর শেষে আকাশ-পাতাল তফাত। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামতে প্রথমবারের মতো নাদিফ চৌধুরীকে বেছে নেয় রংপুর। আগের দিন জন্ম নেয়া পুত্র সন্তানের মুখ দেখে শুরুটা দারুণ করেছিলেন বাংলাদেশের জার্সিতে তিন টি-টুয়েন্টি খেলা ব্যাটসম্যান।
প্রথম ছক্কাটা গেইল হাঁকালেও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন নাদিফ। ১২ বলে টানা তিন ছক্কা ও দুই চারে ২৭ রান তুলে দিশেহারা করে দিয়েছিলেন ঢাকার বোলারদের। তিনটি ছক্কাই মেরেছেন শুভাগত হোমের করা চতুর্থ ওভারে। ওই ওভারের শেষ বলে কাইরেন পোলার্ডের হাতে নাদিফকে ক্যাচ বানিয়ে শোধ তুলেছেন শুভাগত।
নাদিফ ফিরতেই শনি ভর করে রংপুরের ঘাড়ে। পঞ্চম ওভারের প্রথম দুই বলে গেইল ও রাইলি রুশোকে ফিরিয়ে প্রতিপক্ষের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন রুবেল। শেষদিকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেয়ার কৃতিত্ব রবি বোপারার। পঞ্চম ওভারে নেমে আউট হয়েছেন শেষ ওভারে। ফেরার আগে ৪৩ বলে করেছেন ৪৯!
ঢাকার হয়ে দারুণ বল করেছেন রুবেল। ৩.৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় ফিরিয়েছেন রংপুরের ৪ ব্যাটসম্যানকে। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও কাজী অনিক। একটি করে উইকেট শিকার সাকিব ও শুভাগত হোমের।