কিছু না কিছু বদভ্যাস আমাদের সবারই থাকে, অনেকে চান সেসব বদভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে। কিন্তু অনেক বদভ্যাসের মধ্যে কিছু কিছু আমাদের জন্য বেশ উপকারি। তাই সেসব থেকে মুক্তি নয় বরং সেসব বদভ্যাস ঘিরে ধরেই বাঁচা যেতে পারে অনায়াসেই।
জেনে নিন তেমনই কিছু বদভ্যাসের কথা, যেসব বদলানোর তেমন একটা প্রয়োজন নেই।
দীর্ঘশ্বাস: অনেকেই এটা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে পিছপা হননা। কিন্তু এর উপকারিতার কথা জানেন ক’জনে। দীর্ঘ করে শ্বাস নিলে সেটা শুধু যে আপনার বিরক্তি দূর করে আপনাকে খানিকটা রিলিফ দিবে তাই নয় বরং দীর্ঘশ্বাস অনেকটা স্বাস্থ্যকরও। ন্যাচারে প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যায় গভীরভাব নেওয়া দীর্ঘশ্বাস লাংসের জন্য খুবই উপকারি। কারণ এতে করে শরীরে অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই অক্সাইড আরো দ্রুত আনা নেওয়া হয়। সেই কাজে দীর্ঘশ্বাসকে যথাযথই ব্যবহার করে শরীর।
চকলেট: চকলেট খাওয়াটাকেও অনেকে বদভ্যাস হিসেবেই বিবেচনা করেন। তবে একাধিক গবেষণা থেকে জানা যায় চকলেট শুধু মুখের স্বাদের জন্য নয় হার্টের সুরক্ষার জন্য অসাধারণ। আর সেই ক্রেডিটটা দিতে হয় চকলেট বিন কোকো কে। কোকো বিনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিরা ও ধমনী আরো নমনীয় করে এবং রক্তচাপ কমায়। তাই বলে পুরনো কোনো চকলেট বার না খাওয়াই ভালো। ডার্ক চকলেট সবচেযে বেশি উপকারি। সেখানে একটু কম চিনি থাকে। সপ্তাহে সাত আউন্স মানে চারটি ডার্ক চকলেট বার খেতে পারেন অনায়াসে।
হালকা মানসিক চাপ: অফিস ও কাজের প্রেসার অনেকেই সারাদিন হালকা কাজের চাপে থাকেন। তবে সেটা খুব বেশি খারাপ না। কারণ হালকা চিন্তা আমাদের শারিরীক ও মানসিকভাবে আরো বেশি কর্মক্ষম করে তোলে। চাপ কখনো কখনো সচেতনতা বাড়ায়, এনার্জি লেভেল বাড়ায় এবং রক্তপ্রবাহে চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। চকলেটের কারণে রক্তপ্রবাহে নিরাপত্তা দেওয়ার মতো হরমোন নি:সরণ হয়। এতে করে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং কয়েক ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
ক্যান্ডি খাওয়া: চিনি বেশি এবং কম স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকায় অনেকেই ক্যান্ডি খেতে চাননা। খুব বেশি স্বাস্থ্যকর নয় বলে এই খাবারটি একেবারেই খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিবেন না। কিন্তু একটু একটু ক্যান্ডি খেলে আপনার কোমরের পরিধি অত বেশি স্ফিত হবেনা, শরীরও কম কম প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগবে। তাই সুস্থ থাকতে নিজেকে মাঝে মাঝে ক্যান্ডি ট্রিট দিতেই পারেন।