গত দুই বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল এবং ধারাবাহিক দুটি দলের লড়াই হচ্ছে ওভালে। বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি স্বাগতিক ইংল্যান্ড। কিন্তু কী এক অদ্ভুত মিল নিয়েই না টাইগারদের বিপক্ষে লড়াইয়ের অপেক্ষায় ইংলিশরা।
টুর্নামেন্টের আগে নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে বাজে ভাবে হেরেছে দুই দলই।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে প্রায় এক মাস আগেই দেশ ছেড়েছিলেন মাশরাফিরা। সাসেক্সে কন্ডিশনিং ক্যাম্প ছিল দশদিনের, আয়ারল্যান্ডে গিয়ে খেলা হয়েছে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টও। সেই সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মত ছয়ে ওঠে টাইগাররা। প্রত্যাশার পারদটা আকাশ ছুঁয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪১ করেও হার। ঠিক পরের প্রস্তুতি ম্যাচেই ভারতের কাছে মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা। এই ম্যাচে ২২ রানে প্রথম ছয় উইকেট হারিয়েছিল টাইগাররা।
ইংলিশদের লজ্জা প্রায় বাংলাদেশের কাছাকাছি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৫৩ রানে অলআউট হয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে মাত্র ২০ রানেই ইংলিশদের ছয় উইকেট তুলে নেন প্রোটিয়া বোলাররা। ওয়ানডে ইতিহাসে এটি আবার সবচেয়ে বাজে শুরু।
তাই শেষ ম্যাচে এক দগদগে হারের ক্ষত নিয়েই একে অপরের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। তবে চাইলে মাশরাফিরা কিন্তু মরগানদের উল্টো সান্ত্বনা দিতেই পারেন, প্রস্তুতি ম্যাচ বলে ভারতের বিপক্ষে লজ্জার রেকর্ডটা ইতিহাসে লেখা থাকবে না।