গাজীপুরের শ্রীপুরে এক যুবককে হত্যার পর তার লাশ ৬ টুকরো করা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, হত্যার আলামত ও লাশগুম করতে বটি দিয়ে মরদেহ ৬ টুকরো করে স্ত্রী জীবন্নাহার মেঘনা।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলেন করে এসব তথ্য তুলে ধরেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার শ্রীপুর পৌর এলাকার গিলারচালা গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের ময়লার স্তুপে পড়ে থাকা বস্তার ভেতর থেকে রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের ৬ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনা জানার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মূল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
‘‘পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্ত্রীর জীবন্নাহার জানিয়েছে, আর্থিক লেনদেন নিয়ে রফিকুলের সঙ্গে তার বিরোধ বাঁধে। এরই জেরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রফিকুলকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে সে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ঘরের ওয়ার্ডরোবে লুকিয়ে রাখে।’’
জীবন্নাহারকে উদ্ধৃত করে পুলিশ সুপার আরো বরেণ, ‘লাশের পরিচয় কেউ যাতে সনাক্ত করতে না পারে; সেজন্য রাত ১১টার দিকে মরদেহ বটি দিয়ে পা, হাত ও মাথা কেটে ৬ টুকরা করে সে। এক পর্যায়ে মাথা ও হাত ময়লার ড্রামে, শরীর বস্তায় এবং পা টয়লেটের পাশে ফেলে দেয়।’
শামসুন্নাহার বলেন, ঘটনার রহস্য আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে; কিনা আমরা তা জানার চেষ্টা করছি।
ঘটনার পর নিহতের বাবা আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন।
নিহত রফিকুল ইসলামের মাজিয়া আক্তার রোজা নামে ৪ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।