করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট মৃত্যু চার লাখ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৪১ লাখের বেশি মানুষ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন নয় কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ৭৩২ জন এবং মারা গেছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৯ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৫১ জন মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৮১৪ জন। এর মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে একদিনে মৃত্যু ৩ হাজার ৮০৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয় মৃত্যু যুক্তরাজ্যে ১ হাজার ২৮০ জন, আক্রান্ত ৫৫ হাজার ৭৬১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ১৬ হাজার ১৯ জন, মারা গেছেন ৮৭ হাজার ২৯৫ জন।
তৃতীয় সবোর্চ্চ মৃত্যু ব্রাজিলে ১ হাজার ১৩১জন, জার্মানিতে ১ হাজার ৪৫ জন, মেক্সিকোতে ৯৯৯ জন, ইটালিতে ৪৭৭, কলম্বিয়া ৩৭১জন রাশিয়ায় ৫৫৫ জন, সাউথ আফ্রিকায় ৬১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে সেই বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপিন্সে।
১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।