কোনো সাংগঠনিক কাঠামো না থাকলেও বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রকারীরা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নাম ব্যবহার করছে বলে মন্ত্রীরা অভিযোগ করেছেন। বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তাদের।
মুক্তমনা লেখক-প্রকাশক-ব্লগারদের পর চেকপোষ্টে পুলিশ হত্যা, আশুরার রাতে হোসেনী দালানে বোমা মেরে হত্যাকান্ড এবং এর আগে ইতালিয়ান ও জাপানী হত্যা।স্পর্শকাতর প্রায় সবগুলো হত্যাকান্ডগুলোর পরপর আইএস দায় স্বীকার করলেও পুলিশ এবং সরকার বলছে, বাংলাদেশে আইএসের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্য কেউ আইএসের নাম ব্যবহার করছে।
সর্বশেষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা হিসেবেই আইএসের নামে ষড়যন্ত্র চলছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও বলছেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই ওই ষড়যন্ত্র।
বাংলাদেশে আইএসের তৎপরতা প্রমাণ করার চেষ্টার পেছনে দুটি দেশের দিকে আঙ্গুল তোলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
সর্বশেষ বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় আইএস দায় স্বীকার করলেও গোয়েন্দারা আইএস সংশ্লিষ্টতা নাকচ করেছেন। তবে আইএসের মুখপত্র ‘দাবিক’ বলছে, বাংলাদেশে তাদের নানামুখি টার্গেটের অন্যতম শিয়া সম্প্রদায়।