প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের অভিযোগে মার্কিন পদক্ষেপের পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার ৩৫ কূটনীতিককে বহিষ্কারের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার করে রাশিয়া বলেছে, এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘গুরুতর অস্বস্তিকর’ হবে। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র এমন কঠোর জবাবের কথা বলেছেন। তবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করারও আভাস দেন তিনি।
ট্রাম্প বরাবরই রাশিয়ার প্রতি ‘উদার’, রাশিয়ার মতো তিনিও নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। হ্যাকিংয়ের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে আসছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, নিঃসন্দেহে, রাশিয়ার পাল্টা একই ধরনের প্রতিক্রিয়া (কূটনীতি বহিষ্কার) আমেরিকার এই ক্ষেত্রে (কূটনৈতিক) তাৎপর্যপূর্ণ অস্বস্তির কারণ হবে। তবে রাশিয়া কোন ‘তরিৎ পদক্ষেপ’ নেবে না বলে মার্কিন ক্ষমতার পালা বদলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “এই সিদ্ধান্তটি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিয়েছেন, কিন্তু তিন সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প রাষ্ট্রপ্রধান হবেন।”
নতুন বছরে জানুয়ারির ২০ তারিখ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যাকিং এর মাধ্যমে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ৩৫ জন কূটনীতিককে বৃহস্পতিবার বহিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশত্যাগের জন্য তাদের ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়া হয়। নিউইয়র্ক ও মেরিল্যান্ডে রাশিয়ান গোয়েন্দা কাজে ব্যবহৃত দুটি ভবনও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানায় মার্কিন প্রশাসন।
ওয়াশিংটন ডিসি দূতাবাস ও সান ফ্রান্সিসকোর কনস্যুলেটে কর্মরত এই কূটনীতিকদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ (কোন বিদেশি ব্যক্তিকে দেশে প্রবেশে বা অবস্থান গ্রহণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা) ঘোষণা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং পরিবারসহ তাদের দেশ ছাড়ার জন্য সময় বেধে দেয়।
এছাড়াও নয়জন সত্ত্বাধিকারী ও ব্যক্তির উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রাশিয়ার দুইটি গোয়েন্দা সংস্থা (জিআরইউ ও এফএসবি), জিআরইউ’এর চারজন কর্মকর্তা এবং জিআরইউ-র সাইবার কাজে বস্তুগত সহায়তা দেয়া তিনটি কোম্পানি।