শীতকালে কোভিড-১৯ এর সংকট কমাতে যুক্তরাজ্যে পুনরায় কোভিড বিধিনিষেধ চালু করা করার তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, জনসমাগম এলাকা ও আবদ্ধ স্থানগুলোতে সবাইকে পুনরায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, শীতকালীন কোভিড বিষয়ে একেবারে পদক্ষেপ না থাকলেও তারা বিষয়টি আমলে রেখে ‘নিবিড়ি পর্যবেক্ষণ’ করছেন।
যুক্তরাজ্যে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে ৪৩ হাজার ৭৩৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত সাতদিনে দেশটিতে টানা ৪০ হাজারের ওপরের করোনা শনাক্ত হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) জানিয়েছে, দেশটিতে আবারও সামাজিক বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। পাশাপাশি বুস্টার ডোজ আরও গতিশীল করতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী এনএইচএস কনফেডারেশনের প্রধান ম্যাথিউ টেইলর হাসপাতালগুলিকে অপ্রতিরোধ্য না হওয়ার জন্য প্ল্যান বি-তে অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।
তিনি বলেন, কোভিডে এনএইচএস রেকর্ডে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং শীতের সময় হতে পারে তার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সময় এসেছে সরকারের বিলম্ব না করে তার কৌশলের প্ল্যান বি প্রণয়ন করার, কারণ আগে পদক্ষেপ না নিলে আমরা শীতকালীন সংকটে ঝুঁকিতে পড়তে পারি।’’
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রীদের কোভিড সংক্রমণের জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয় এবং আমাদের উচিত সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ার আগেই পরিকল্পনা নিয়ে সব কিছু প্রস্তুত করা।
ব্রিটিশ সরকার শীতকালীন কোভিডে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে বলেছেন, প্ল্যান-এ হিসেবে সরকার শীতে তিন কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছে। শিশুদের (১২-১৫ বয়সী) ভ্যাকসিনের একটি ডোজ দিয়েছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে ভিড় ও জনসমাগম এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া সরকারের পরিকল্পনায় প্ল্যান-বি’র অংশ হিসেবে কোভিড নিয়ন্ত্রণে পুনরায় হোম অফিস বাধ্যতামূলক করা, ভ্যাকসিন পাসপোর্ট করা, স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারে জোড় দিয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস জানায় যুক্তরাজ্যে প্রতি ৬০ জনের মধ্যে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। যা মহামারীর পর থেকে দেখা সর্বোচ্চ স্তরের মধ্যে একটি। প্রতিদিনই দেশটির হাসপাতালগুলোতে সংক্রমিত রোগী ভর্তির হার বাড়ছে।
এর আগে গত জুলাই মাসে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ার ফলে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে দেয় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার। মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়।
নাইট ক্লাবসহ অন্যান্য বিনোদনমূলক কেন্দ্রগুলোকে পূর্ণ ধারণ ক্ষমতা নিয়ে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এমনকি হোম অফিসের নির্দেশনাও তুলে দেয় সরকার।