ময়মনসিংহের যাকাত ট্র্যাজেডির মামলায় ৮ জনের চারজনই জামিনে থাকলেও কষ্ট আর হতাশার মধ্যে দিন কাটছে নিহতদের স্বজনদের। পুলিশ বলছে, জৌলুস করে যাকাতের আয়োজন না করলে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব ছিলো।
ময়মনসিংহের নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিক হাজী মোহাম্মদ শামীম ওরফে শামীম তালুকদারের বাসা থেকে ১০ জুলাই ভোরে যাকাত সংগ্রহের সময় পদদলিত হয়ে যে ২৭ জন মারা যান তাদের মধ্যে নূরুল ইসলামের পরিবারেরই রয়েছে তিন জন।
স্ত্রী সখিনা, শাশুড়ি সামু আর দু’বছরের মেয়ে লামিয়া। ঘটনার পর জেলা প্রশাসন আর জর্দা ফ্যাক্টরি থেকে ২০ হাজার টাকার বাইরে আর কোনো সাহায্য পাননি তারা। স্ত্রী-সন্তান হারানো নূরুল ইসলাম বলেন,‘আমার সব গেছে’।
এর পাশেই নিহত খোদেজা বেগমের বাড়ি। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত অসুস্থ তার মেয়ে ডেইজি আক্তার মিতু। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত মিতু তাদের এই অবস্থার জন্য দায়ীদের শাস্তি চান।
মিতুর ভাই এরশাদ বলেন, মা নেই। বোনকে একা বাড়িতে রেখে কাজে গেলেও দুশ্চিন্তায় থাকেন সবসময়।
পুলিশ বলছে, তদন্ত এগোচ্ছে সঠিক ভাবেই। যদিও এরই মধ্যে জামিন পেয়ে গেছে জর্দা ফ্যাক্টরির মালিকসহ চারজন।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, সঠিকভাবে তদন্ত করে সময়মতো প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। গ্রেপ্তার করা ৮ জনের মধ্যে ৪ জন এখন কারগারে আছে।
আসামিরা জামিন পেলেও এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি জর্দা ফ্যাক্টরির পাশের স্বজন হারানো বস্তি এলাকা।