দেশের চরাঞ্চলগুলোতে প্রায় এক কোটি মানুষের বাস হলেও মৌলিক সুযোগ সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত তারা। নদী ভাঙ্গনে গৃহহীন হয়ে ভাসমান অবস্থায় জীবন যাপন তাদের।
নাজুক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে উন্নয়নের মূলধারা থেকে পিছিয়ে চরের মানুষ।
ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের তথ্য অনুযায়ী নদ-নদী বেষ্টিত বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ১০ শতাংশ চর। দেশের ৩২ জেলার শতাধিক উপজেলার অংশবিশেষ জুড়ে বিস্তৃত এই চরাঞ্চলে প্রায় এক কোটি মানুষের বসবাস। তীব্র নদীভাঙ্গন, বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বেঁচে থাকতে হয় তাদের।
জামালপুর শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নে চর বরুল, চর মন্নিয়া ও চর সিন্দুরতলী। নৌকা বা ট্রলারে যমুনা পাড়ি দিতে এক ঘণ্টার যাত্রা। চর বরুলে ঢুকতেই চোখে পড়ে ভাঙ্গনের শিকার মানুষদের নতুন করে ঘর বানানোর দৃশ্য।
ভাঙ্গন কবলিত এসব মানুষের চাওয়া চরের আশেপাশে স্থায়ী বেষ্টনি। চরে সবচেয়ে নাজুক স্বাস্থ্যসেবা। কয়েকটি চর মিলিয়ে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। যা বেশিরভাগ সময়ই থাকে বন্ধ। জরুরী স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে পাড়ি দিতে হয় যমুনা, রাতের বেলায় যা অনেকটাই অসম্ভব।
প্রতিনিয়ত যেখানে বেঁচে থাকার সংগ্রাম, সেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যেনো প্রশ্ন তোলাও অবান্তর। দুয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন শিক্ষকরা।
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় সোলারেই ভরসা তাদের, তবে প্রতি ইউনিট কিনতে হয় ৩০ টাকা দরে। চরের মানুষের উন্নয়নে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠনের কথা বলছে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স।