আগের ম্যাচে শেষ ওভারে মোস্তাফিজ-ম্যাজিক পূর্ণতা পায়নি। এদিন ১৯তম ওভারেই ডাক পড়ে। ফিজ দলের খুব প্রয়োজনের মুহূর্তে এক রানের বিনিময়ে এনে দেন ডাবল উইকেট ওভার। কিন্তু শেষ ওভারে ১১ রানের ভরসা নিয়ে লড়াইটা মুম্বাইয়ে দিকে টেনে নিতে পারেননি বেন কাটিং। শেষ বলে এসে এক উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে সাকিবদের হায়দরাবাদই।
বৃহস্পতিবার রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান তোলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জবাবে শেষ বলে গড়ানো ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
আইপিএলের এবারের আসরে নতুন দলে নাম লিখিয়ে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। শুরুতে সাকিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ফিজদের ইন্ডিয়ান্সরা দেড়শ আগেই যখন থামে, মনে হচ্ছিল ম্যাচ বুঝি সহজই হতে যাচ্ছে! বলে ম্যাজিক দেখিয়ে মোস্তাফিজ, বুমরাহ ও ২০ বছর বয়সী লেগস্পিনার মায়াঙ্ক মার্কান্দে সেই ম্যাচ জমিয়ে তোলেন।
রান তাড়ায় নেমে হৃদ্ধিমান শাহা (২২) ও শেখর ধাওয়ান (২৮ বলে ৪৫) ৬.৫ ওভারে ৬২ রানের ঝড়ো শুরু আনেন। পরে দ্রুত ফিরে যান উইলিয়ামসন ৬, মনিষ পান্ডে ১১, সাকিব এক চারে ১২ বলে ১২ এবং ইউসুফ পাঠান ১৪ রানে। একপাশে আগলে ছিলেন কেবল দীপক হুদা।
শেষ তিন ওভারে ১৫ রান দরকার পড়ে হায়দরাবাদের। ১৮তম ওভারে এসে মাত্র ৩ রানে ২ উইকেট তুলে নেন বুমরাহ। আর ১৯তম ওভারে মাত্র এক রানেই দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান মোস্তাফিজ।
ফিজ প্রথম বলে সিঙ্গেল দেন হুদাকে। চতুর্থ বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান ক্রুনালকে। শেষ বলে সন্দীপ শর্মাকে। দারুণ সেই প্রদর্শনীর পর শেষ ওভারে ১১ রান দরকার হয় সানরাইজার্সদের।
প্রথম বলেই হুদা ছক্কা হাঁকান কাটিংয়ের বলে। পরে এক ওয়াইড তিনটি সিঙ্গেলের বিনিময়ে দুদলের রানে সমতা আসে। তখন স্ট্যানলেক শেষ বলে চার মেরে ম্যাচই ছিনিয়ে নেন। একটি করে চার ছক্কায় ২৫ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন হুদা। স্ট্যানলেক ৫ রানে অপরজিত।
তাতে বৃথাই যায় ইন্ডিয়ান্সদের দারুণ বোলিং। মোস্তাফিজ চার ওভারে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রত্যাশা মিটিয়েছেন। সমান ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা মার্কান্দে। বুমরাহ ৩২ রানে ২ উইকেট নেন।
এর আগে সাকিবকে দিয়ে চার ওভারই বল করিয়েছেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এক উইকেট পেলেও তাতে ৩৪ রান খরচ করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
সাকিব বল হাতে পান ইনিংসের সপ্তম ওভারে। সুরিয়াকুমার যাদবকে দিয়ে টানা ৪টি ডট বল খেলিয়ে ওই ওভারে মাত্র ১ রান দেন।
নবম ওভারে আবারও বোলিংয়ে ডাক পড়ে সাকিবের। ১৩ রান দিয়ে খানিকটা খরুচে হলেও পঞ্চম বলে কাজের কাজটা করেন বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক। ক্রুনাল পান্ডিয়াকে বানান উইলিয়ামসনের ক্যাচ।
ইনিংসের ১৪তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে সাকিব। এ ওভারে খরচ করেছেন ১০ রান। আর ১৬তম ওভারে নিজের কোটা পূরণ করতে এসে ১০ রান দিয়ে শেষ টানেন।
কিপ্টে বোলিংয়ে হায়দরাবাদের ইনিংসে সেরা বোলার রশিদ খান। চার ওভারে ১ উইকেট পেলেও মাত্র ১৩ রান দিয়েছেন আফগান লেগস্পিনার। সমান ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সন্দ্বীপ শর্মা, বেন স্টেনলেক ও সিদ্ধার্থ কাউল।
মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ ইনিংস এভিন লুইসের ২৯। ২৮ করে এসেছে যাদব ও পোলার্ডের ব্যাটে।