প্রিয়জনের মৃত্যুশোক চেপে মাঠে নামার ঘটনা অনেকবারই দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। বিষ্ণু সোলাঙ্কির দৃঢ়তা যেন ছাপিয়ে গেল সবকিছুকেই। বরোদার ডানহাতি ব্যাটার দুসপ্তাহের ব্যবধানে হারিয়েছেন বাবা ও মেয়েকে, তবুও থেমে থাকেননি, বাবার মৃত্যুর দিনেই নেমেছেন রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে।
ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে মারা যান সোলাঙ্কির একদিন বয়সী মেয়ে। দলের সাথে কোয়ারেন্টাইনে থাকায় মেয়েকে জীবিত দেখার সুযোগটুকু মেলেনি। ১৩ তারিখ লিগের প্রথম ম্যাচ না খেলে বাড়ির পথে উড়াল দেন সোলাঙ্কি।
শোকাহত সোলাঙ্কি ১৭ তারিখে আবারও দলের সাথে যোগ দেন। বরোদার পরের ম্যাচে নেমে চন্ডিগড়ের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস। ম্যাচশেষে হারানো কন্যাকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ করেন।
ফেব্রুয়ারির ২৫ তারিখ সকালে মাঠে থাকা অবস্থায় বাবার মৃত্যুসংবাদ পান সোলাঙ্কি। দ্বাদশ খেলোয়াড় নিনাদ রাথওয়া ম্যাচ শুরুর মাত্র ৫ মিনিট আগে তাকে পিতার মৃত্যুসংবাদ জানান।
প্রায় দুমাস অসুস্থ অবস্থায় বরোদার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সোলাঙ্কির বাবা। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। ম্যাচ রেফারির অনুমতিক্রমে ড্রেসিংরুমে থেকে পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন সোলাঙ্কি। পরে ভার্চুয়ালি বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন। পরে আবারও মাঠে নেমে পড়েন।
শোক পালনে রোববার চন্ডিগড় ও বরোদার সব ক্রিকেটার কালো ব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিলেন। সোলাঙ্কির পরিবারের প্রয়াত দুই সদস্যের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করেন ক্রিকেটাররা।
শোক কাটিয়ে উঠতে সোলাঙ্কিকে ছুটি দিতে প্রস্তুত বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। তবে দলের সাথেই থাকতে চান এ ব্যাটার। মার্চের ৩ তারিখে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ফের খেলতে নামবে বরোদা।