সেনাবহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের খুঁজে বের করতে মাঠে আছে সরকারের সব বাহিনী। দুই জঙ্গি নেতা মারজান ও সাদ্দাম নিহত হলেও জঙ্গি নেটওয়ার্ক জানতে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কোনোই সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক।
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় জড়িতদের অধিকাংশই চিহ্নিত হয়েছে বলে দাবি তার।
ব্লগার ও লেখক হত্যার পর, একের পর এক বিদেশী ও সংখ্যালঘু হত্যাকাণ্ড। জঙ্গিদের এমন তৎপরতার মুখে দেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ড পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনীর এমন দাবির পর পরই গুলশান হলি আর্টিজানে রক্তাক্ত হামলা।
আগাম গোয়েন্দা তথ্য না থাকলেও পরে তদন্তে আসে জঙ্গি নেতা মারজানের নাম। জানা যায় তার আন্তর্জাতিক জঙ্গি কানেকশন। রংপুর বিভাগের আরেক ভয়ংকর জঙ্গি নেতা সাদ্দাম। বন্দুকযুদ্ধে ওই দুই জঙ্গির মৃত্যুর পর কতটা শক্তিশালী আছে জঙ্গি নেটওয়ার্ক সেটাই এখন গোয়েন্দাদের সামনে প্রশ্ন।
মারজান ও সাদ্দামের মৃত্যুর পর এখন পুলিশ গোয়েন্দাদের টেনশন তিন জঙ্গি নেতা মেজর জিয়া, মুসা ও সাগর। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া দেশেই আছেন এবং নজরদারীতে আছেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে বার বার। গত ৫ মাসে মাসে আটক করা যায়নি শীর্ষ জঙ্গি নেতা মেজর জিয়াকে।
পুলিশের দাবি মেজর জিয়া বর্তমানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা। ২০১১ সালে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত অভিযোগে বরখাস্ত ও বর্তমানে পলাতক রয়েছেন জিয়া। তার পুরো নাম সৈয়দ মো. জিয়াউল হক।
মেজর জিয়াকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ সদর দপ্তর।
নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে না হলেও দেশ বিদেশ থেকে জঙ্গিদের অর্থের যোগান আসে বলেও জানান পুলিশ প্রধান।