মুখের ধরণ বুঝেই আসলে আপনাকে ভ্রু প্লাক করতে হবে। কারও মুখে চিকন ভ্রু, আবার কারও মুখে মোটা ভ্রু মানানসই হয়। শুধু চিকন বা মোটা নিয়ে নয়, পছন্দ থাকে শেপ নিয়েও। কেউ ‘ভি শেপ’ আবার কেউ ‘রাউন্ড শেপ’ পছন্দ করে। তবে যেভাবেই করেন না কেন, অনুষ্ঠান বা উৎসবের দিনকে মাথায় রেখেই তবে ভ্রু প্লাক করুন।
আগামী সপ্তাহেই ঈদ। আর তাই তার সাথে মিল রেখে আপনার ভ্রু প্লাক করা উচিত। কেননা ভ্রু প্লাক করলে তো আপনার মুখটা স্বভাবতই উজ্বল লাগবে। তবে ভ্রু প্লাক করার প্রথম দুই-তিন দিন মুখটাকে তুলনামূলক বেশি উজ্বল লাগে। তাই ঈদের দুই-তিন দিন আগেই ভ্রু টাকে প্লাগ করে ফেলুন। তবে প্লাক করার জন্য যেনতেন কোন পার্লারে যাবেননা। তারা যদি কোন কারণে আপনার ভ্রুটাকে নষ্ট করে দেয়, তবে আপনার চেহারার পুরো আদলই পরিবর্তন হয়ে যাবে। কোন সাজেই তখন আর আপনাকে মানাবে না।
সতর্কতা
ভ্রু প্লাকের সময়ে কিছু বিষয়ে আপনাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে। আর তা হলো—
- কেমন শেপ চাচ্ছেন তা আগেই বিউটিশিয়ানকে বলুন। নইলে আপনার পছন্দের শেপ না করে সে তার মতো করে ফেলবে।
- যাদের জোড়া ভ্রু আছে, তারা সেটাকে রাখতে চান, নাকি পরিষ্কার করে ফেলতে চান, সেই ব্যাপারেও বিউটিশিয়ানকে আগেই বলুন।
- ভ্রু প্লাকের সময় বিউটিশিয়ানের সাথে কথা বলবেন না। তাহলে অমনোযোগ বা অসাবধানতাবশত আপনার ভ্রুটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- ভ্রু প্লাক করতে গিয়ে কপালটাকে বা ভ্রুকে কুঁচকাবেন না। তাহলে আপনার ভ্রু কেটে শেপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- ভ্রু প্লাকের পর যদি সেই জায়গায় র্যাশ বা ব্রণ ওঠে তবে তা নখ দিয়ে খোটাখুটি করবেন না। তাহলে দাগ পড়ে যাবে।
- ভ্রু প্লাকের সাথে সাথে কপালটাও পরিষ্কার করবেন কিনা, তা আগেই ভেবে রাখুন।
- ভ্রু’র কোথাও যদি কোন সমস্যা থাকে। অর্থাৎ চুল ঘন বা কম তা আগেই বিউটিশিয়ানকে বলুন।
- যারা এবারই প্রথম ভ্রু প্লাক করবেন, তারা বিউটিশিয়ানের সাথে কথা বলে নিন কেমন শেফ ভালো লাগতে পারে।
কোথায় যাবেন?
যারা ঢাকায় ঈদ করবেন তারা পারসোনা, ফারজানা শাকিলস, ড্রিমস, লি, ওমেন্স ওয়ার্ল্ড স্বনামধন্য এই পার্লারগুলোর যে কোন একটা থেকে প্লাক করতে পারেন। আর যারা ঢাকার বাইরে ঈদ করবেন, তারা এখান থেকে প্লাগটা সেরে নিয়েও বাসায় ঈদের উদ্দেশ্য রওনা দিতে পারেন। কিংবা যদি একান্তই এলাকায় করতে হয়, তবে সেখানকার স্বনামধন্য কোন পার্লার থেকে প্লাকটা সেরে নিন।
তবে যেখানেই ভ্রু প্লাক করুন না কেন, তাড়াহুড়া না করে বরং ধীরে-সুস্থে প্লাকটা সেরে নিন।