কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর গুলিতে এক বাংলাদেশী জেলে নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও একজন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬ টায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমার মৌলভীপাড়া সংলগ্ন নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেলে টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার নুরুল আমিন এবং গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিও একই এলাকার মোস্তফা হোসেন।
ফেরত আসা জেলে মোহাম্মদ হাকিম জানান, সোমবার ভোরে বাংলাদেশ সীমান্তে নাফনদীর মৌলভীপাড়া পয়েন্টে মাছ শিকারে যান তারা তিনজন। কিন্তু সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে হঠাৎ করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৭ জন সদস্য একটি স্পিডবোট নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় নুরুল আমিন ও মোস্তফা হোসেন গুলিবিদ্ধ হলে তাদেরকে নিয়ে মোহাম্মদ হাকিম পালিয়ে টেকনাফে ফিরে আসেন।
পরে স্থানীয় আরও কয়েকজন জেলের সহায়তায় তাদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুবন দাশ জানান, নুরুল আমিনের বুকে গুলি লাগায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সেই হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান। আরেক জেলে মোস্তফা হোসেনের পিঠে গুলি লেগেছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মোস্তফাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও টেকনাফ থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, মিটিংয়ের কারণে তিনি কক্সবাজার শহরে রয়েছেন। তবে সকালে টেকনাফ বিজিবির অধিনায়ক তাকে ফোনে বাংলাদেশী জেলেরা মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকারের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
টেকনাফ থানা থেকে পুলিশের একটি দল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।