একের পর সিনেমা করে যাচ্ছেন বাপ্পী চৌধুরী। তার অভিনীত আগস্ট ৫৭০, ঢাকা ২০৪০, শ্বশুড়বাড়ি জিন্দাবাদ, সিক্রেট এজেন্ট সিনেমাগুলো মুক্তির অপেক্ষায়। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করবেন কাজী হায়াৎ পরিচালিত নতুন সিনেমা ‘জয় বাংলা’। যেখানে প্রথমবারের মতো বাপ্পীর সঙ্গে জুটি বাঁধছেন জাহারা মিতু। যিনি ‘আগুন’ ও ‘কমান্ডো’ দুই সিনেমায় নাম লিখিয়েই আলোচিত।
‘জয় বাংলা’ সরকারি অনুদান প্রাপ্ত সিনেমা। লেখক, শিক্ষক মুনতাসির মামুনের ‘জয় বাংলা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন নির্মাতা কাজী হায়াৎ। তিনি জানিয়েছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এফডিসিতে শুটিং শুরু করবেন। সপ্তাহখানেক চলবে প্রথম লটের শুটিং। শুরুর লটে বাপ্পী ও জাহারা মিতু দুজনেই শুটিংয়ে নেবেন।
বাপ্পী অভিনীত ত্রিশটির বেশি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এবারই প্রথম তিনি কাজী হায়াতের মতো নির্মাতার নির্দেশনায় কাজ করতে যাচ্ছেন। চ্যানেল আই অনলাইনকে এ বিষয়ে বলেন, ক্যারিয়ারে যে কটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাজী হায়াত আঙ্কেলের ‘জয় বাংলা’ সিনেমাটি করার সিদ্ধান্ত নেয়া। তাছাড়া মুনতাসির মামুন স্যারের উপন্যাসে কাজ করতে পারছি এটাও অন্যতম পাওয়া। বাঙালির কাছে অতিপরিচিত স্লোগান ‘জয় বাংলা’। এখন থেকে মনে করবো ‘জয় বাংলা’ মানেই আমার সিনেমা।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পূর্বের সময় থেকে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের দিন পর্যন্ত সময় উঠে আসবে ‘জয় বাংলা’ সিনেমায়। টুঙ্গিপাড়া চলচ্চিত্রের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করছেন মিঠু শিকদার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সাধারণ শাখায় ৬৫ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে ‘জয় বাংলা’।
জাহারা মিতু বলেন, সিনেমাটির প্রেক্ষাপট এই তিন বছর সময়কার। তিনি মনে করেন, এমন একটি প্রেক্ষাপট কেন্দ্র করে সিনেমাটি করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়। সে কারণে তার কাছে যখনই সিনেমাটির প্রস্তাব যায় তিনি একবাক্য হ্যাঁ বলেন।
জাহারা মিতু বলেন, এই উপন্যাসটি ২০১১ সালে কলেজে পড়াকালীন পড়েছিলাম। তাই আগেই কিছুটা ধারণা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের আগের একজন কিশোরীর চিন্তাভাবনা, চলনবলন এবং এখনকার প্রজন্মের একজন মেয়ের চিন্তাভাবনা থেকে সবকিছুতে অনেক তফাৎ। চরিত্রের জন্য আমাকে সেই সময়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এজন্য চিত্রনাট্যের পাশাপাশি মানসিক বিষয়েও প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। শেষ কয়েকদিন চার কেজি ওজন কমিয়েছি।
নির্মাতা কাজী হায়াৎ প্রসঙ্গে জাহারা মিতু বলেন, তিনি আমার ভীষণ পছন্দের নির্মাতা। যখন আমার মাকে সিনেমাটির কথা জানাই কী ধরনের সিনেমা কে থাকবে এসব না জেনেই বলেন ‘করে ফেলো। কারণ এটা কাজী হায়াতের সিনেমা!’ কয়েকদিন গল্প নিয়ে বসেছি, তিনি আমাকে খুব পছন্দ করেছেন। দোয়া দিয়েছেন। আশা করছি, আমাদের কাজটিও চমৎকারভাবে শেষ হবে।