জার্মানির মিউনিখে গুলি চালিয়ে ৯ জন হত্যার পর আত্মহত্যাকারী বন্দুকধারীর সঙ্গে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস’র কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি জার্মান পুলিশ। বরং এই বন্দুকধারী নরওয়ের উগ্র জাতীয়তাবাদী ডানপন্থী এবং গণহত্যার আসামী আন্দ্রেস বেরিং ব্রেইভিকের অনুসারী ছিলো বলে ধারণা করছে তারা।
হামলাকারী মানসিক রোগী এবং বেশ কিছু দিন ধরে সে হতাশাজনিত রোগে ভুগছিলো বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
১৮ বছর বয়সী ওই হামলাকারীর বাসভবনে তল্লাশী চালিয়ে কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। কাগজপত্রগুলোর মধ্যে একটি নিবন্ধ পাওয়া গেছে যেখানে ‘ শিক্ষার্থীরা কেনো হত্যা করে ’এমন কথা লেখা ছিলো।
সে হামলার শিকারদের নিজেই ডেকে এনেছিলো কিনা তা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সে ফেসবুকের সাহায্যে কোনো আমন্ত্রণ কিংবা ইভেন্ট খুলেছিলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ হামলার শিকার হওয়াদেরকে একটি মেয়ের নামে খোলা ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ম্যাক ডোনাল্ডস ফাস্ট ফুডে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো।
মিউনিখেই জন্ম নেয়া হামলাকারী নাইন এমএম গ্লোক পিস্তল দিয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় অলিম্পিয়া শপিং মলে হামলা চালায়।
একনজরে ব্রেইভিক:
২০১১ সালের ২২ জুলাই নরওয়েতে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে একাই ৭৭ জনকে হত্যা করে উগ্র ডানপন্থী মতধারায় বিশ্বাসী আন্দ্রেস বেরিং ব্রেইভিক। ইউরোপে মুসলিম অভিবাসীদের প্রবেশের প্রতিবাদেই ওই হামলা চালিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন ব্রেইভিক।
তার হত্যার শিকার হওয়াদের বেশির ভাগই ছিলেন অপেক্ষাকৃত উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত নরওয়ের সেন্টার-লেফট রাজনৈতিক দলের তরুণ কর্মী।
ব্রেইভিকের বয়স এখন ৩৭ বছর। ৭৭ জনকে হত্যার দায়ে ২০১২ সালে তাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।