জগতে কেউ কেউ বড্ড বেশি আর কারো মত না, আলাদা এবং খুব বেশিই আলাদা অভিমানী! জন্মসুত্রেই প্রেমময়, মানবিক, প্রখর আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন, প্রকৃতিপ্রেম এই সব ঘিরেই থাকে তার বিশাল কোন সাম্রাজ্য এবং সেইখানে সেই মহান অধিপতি, বলা যায় ‘রাজার রাজা কিংবা রাণী”!!! তার উপর সেই মানুষটির যদি থাকে একটা লেখালিখির জগত, তবে সে জীবনে অনেকবার ‘একা হয়’ অনেকবার আলাদা এক ঘোরলাগা স্বপ্ন দুনিয়া গড়ে, ভাঙ্গে এবং নিজের একান্ত চাওয়া পাওয়ার হিসেব খাতায় বড্ড বেশিই0 কাটাছেঁড়া করে ফেলে হয়তো নিজের অজান্তেই।
সেই মানুষ যে অনেক মানুষের একান্ত দুনিয়ার খুব কাছের এবং প্রিয়জন হয়েও রাজত্ব করে বেড়ায় কি জানি, সেইসব ভালোবাসা কেন যেনো দেখেও না দেখা জেনেও না জানার এক তুমুল ভান দুনিয়ায় চলে যাওয়াটাও মানুষটি তাঁর নিয়তি করেই ছাড়ে!!!
‘শাকিল ভাই’ এক সময়ের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা, এই সময়ের বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বিশেষ প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করা তার অকালে চলে যাওয়া নিয়ে এমন সব ভাবনাই আমার মাথায় চলছিল। উনি আমার কাছের কেউ নন, আমার খুব চেনা কাছের অনেকের খুব বেশিই কাছের ছিলেন। আমি অল্প বিস্তর জানতাম কবি এবং সংগীত প্রেমী ‘শাকিল ভাইকে, প্রবাসী আমি ও আমার পরিবারের বাংলাদেশে যেয়ে এবার দেখা হওয়ার কথা ছিল, আমার ছেলের বাবার প্রিয় এক বড়ভাই সেই সুবাদে, হয়নি নানান কারণে।
কি জানি উনার সাথে দেখা হলে আজকের অনুভূতি ভিন্ন হত কিনা। উনার মৃত্যু নিয়ে অনেকেই লিখছেন, অন্য এক শাকিল ভাই প্রতিদিন আমাদের সামনে উঠে আসছে নানান ভাবে। আমি মৃত্যু নিয়ে অন্যরকম কিছু বলতে চাই, মৃত্যু যেমনই হোক, স্বাভাবিক মৃত্যুতে আমাদের কারো হাত নেই তারপরও বেঁচে আছেন ঠিক উনার মতন এমন কাউকে বলতে ইচ্ছে করছে… ”একান্ত নিজের একটা প্রেমময়, ভালোবাসাময়, কাব্যময় ভুবন অবশ্যই থাকা ভালো তার পাশাপাশি এটাও মাথায় থাকা দরকার এই পৃথিবীকে আমার কিছু দেয়ার আছে কিনা, আমাকে ঘিরে বাড়ছে কিনা অন্য কোন মানুষের পৃথিবীর আশ্বাস প্রশ্বাস !!!
আমাকে ঘিরে যদি মানুষের স্বপ্ন থাকে ভালোবাসা থাকে সেটা ধারণ করে সুস্থ সুন্দর কোন জগতের বাসিন্দা হয়েও যেনো আমি বা আমরা বেঁচে থাকাটা শিখতে পারি!!! কারণ মানুষের ভালোবাসা জোড় করে অর্জন করা যায় না, কিছু মানুষই কেবল এই আশীর্বাদপুষ্ট হয়… যারা হয়, তারা অকালে (!) চলে যাওয়ার জন্যে পৃথিবীতে আসে না, যদিও কেউ কেউ সেটা বুঝতে পারেনা, পারলে কি আর এই অনুভবের জন্ম নিতো …
শাকিল ভাই লিখেছেন ”মূলত আমি কেউ না, না রাজনীতিবিদ, না কবি, না গল্পকার, এমনকি নয় তুমুল সংসারী। এক অভিশপ্ত চরিত্র যার কিছুই থাকতে নেই। সাধু কিংবা সন্ত নই, চোখ জ্বলজ্বল করে জীবনের লোভে। চন্দ্রাহত, বিষাদ এবং ভূতগ্রস্ত, বসে থাকি ব্রক্ষ্মপুত্র ঘাটে, শেষ খেয়ার অপেক্ষায়!!!
অন্য একটি লেখায় পাওয়া যায় অভিমানী এক শাকিল ভাইকে যেনো,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন
‘মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ’’।
এ কথাকে বেদবাক্য ভেবেই পথ চলেছি বহুকাল।
কিন্তু আজকাল আর মানুষ নামীয় প্রাণীকে বিশ্বাস
করতে পারি না।
আশে-পাশে তাকিয়ে দেখেছি শঠতা,
প্রবঞ্ছনা, লোভ হিংসা আর মোসাহেবির
মোড়কে মোড়ানো সব মুখোশ।
তার আড়ালে হারিয়ে গেছে মানুষের মুখ।
চারপাশে যখন নষ্টদের ভিড় তখন
আমি জনারন্যে পা বাড়াতে ভয় পাই।
একাকী গন্ধবিধুর ধূপের মতো পুড়ে যাই।
বসে থাকি নিরালায়, সাজঘরে।
মানুষের অভিনয় করতে মঞ্চে যাওয়া।
আর হয়ে উঠে না।
কতোটা অভিমানী হলে এমন লিখতে পারে কেউ, উনি আরো লিখেছিলেন
‘যারা আমার দু’হাতের দশ আঙ্গুলকে চেনে
দীর্ঘ বছর জুড়ে,
তারা জানে এই দুটি হাত কতোটা ক্ষত-বিক্ষত।
যারা অনুভব করে আমার প্রসারিত হৃদয়
খুব কাছ থেকে
কেমন তারাই জানে, অমলিন এ হৃদয় কতোটা রক্তাক্ত।
খুব জানতে ইচ্ছে করে শাকিল ভাইয়ের হৃদয়ে কি ছিলো কোন অব্যাক্ত কষ্ট, কতোটা গভীর ছিলো সেই অভিমান!!! আজ আর তা জানার নেই কোন উপায়।
আপাদমস্তক একজন রাজনীতি সচেতন, প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন তিনি, বাংলাদেশকে কতোটা ধারণ করলে এমন করে বলা যায় ‘’আমরা জেগে থাকি, বঙ্গবন্ধু, সৈয়দ নজরুল আর তাজ উদ্দিনের শিরা উপশিরায়,
আমরা বেঁচে থাকি শক্তিমান ব্রহ্মমপুত্র পদ্মা-যমুনা-মেঘনায়।
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হামলার প্রেক্ষিতে অগণিত মৌন মানুষের ভিড়ে আমরা পাই তার বলিষ্ঠ উচ্চারণ, আমি কবি, আমি মালাউন। মালাউন মানে অভিশপ্ত। যা তোর জেহাদি জোশ নিয়ে গুজরাট যা। ফিরে এসে তোর ঈমানের গল্প বলিস। শাকিল ভাই একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন, যেটা আজকের এই বাংলাদেশে বড্ড বেশিই অভাব।
খুব বেশিই বাবা প্রিয় সন্তান শাকিল ভাই, উনার রাজনৈতিক বাবাকে ঘিরে ছিলো ভীষণই মন্ত্রমুগ্ধতা, তা তিনি বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছেন। পরিবার, মা এবং নিজের একমাত্র মেয়েকে ঘিরে ছিলো অন্য এক ভালোবাসার জগত। মেয়েকে নিয়ে লিখেছেন তিনি, ভালোবাসার কবিতা। উনার মৃত্যুর পর মেয়েও লিখছেন বাবাকে নিয়ে এক কবিতা, বড্ড বেশিই দুঃখিনী সেই কবিতার বর্ণমালা।
বুকের মাঝে কতোটা প্রেম ধারণ করলে কেউ এমন বলে উনাকে নিয়ে লিখতে যেয়ে নতুন করে ভাবছি, উনি লিখে গেছেন,
কতটা প্রেম থাকলে কেউ এভাবে লিখে
জ্যোৎস্না প্লাবিত গভীর রাতে, কোন এক মন ভাঙ্গা রাতে
বিলক্ষণ বুঝে যাই-
মানুষ মরে গেলে স্বর্গ কিংবা নরক পায়, কেউবা ত্রিশঙ্কু
ভূত হয়ে যায়।
প্রেমের গন্তব্য একটিই।
ভালোবাসা মরে গেলে ঘৃণা হয়ে যায়।
শাকিল ভাই অনেকের খুব প্রিয় এবং কাছের মানুষ ছিলেন, বন্ধু ছিলেন, মেন্টর ছিলেন, উনি চলে যাবার পর শোকের সাগরে ভাসছেন এমন কাছের অনেক বেশি মানুষের অনুভূতি উঠে এসেছে বিশেষ করে ফেসবুক জগতে।
মাহবুবু রাজিব তাদেরই একজন, শাকিল ভাইয়ের প্রকাশিত অপ্রকাশিত নানান কথামালা উনি তুলে ধরছেন নিয়মিত ফেসবুকে। বলাই বাহুল্য আমি নিজেও অবাক হয়েছি উনার কাব্য প্রতিভায় উনি চলে যাওয়ার পর আরও বেশি করে।
মাহবুব রাজিব ১২ ডিসেম্বর ১৬ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন:
শুধু মনে রেখো…..
‘’হেরে যাওয়া মানুষের পাশে কেউ হাঁটে না – মাহবুবুল হক শাকিল’’
শাকিল ভাই আপনি হারেননি, সবাইকে হারিয়ে দিয়েছেন।
শাকিল ভাইকে নিয়ে লিখতে যেয়ে বড্ড বেশি অসহায় লাগছে আজ, তবে এটা অনুধাবন করছি, উনি চলে যাবার আগেই কি ভীষণ করে এই ‘চলে যাওয়া নিয়ে ভাবতেন’। কতোটা তীব্র ছিলো তার সেই সব অনুভূতি তাঁকে পড়লেই আজ আমরা যারা লিখছি বড্ড বেশিই ম্লান হয়ে যায় সেই অনুভূতিগুলোর কাছে। উনি লিখে গেছেন
“আমি চলে যাবার পরেও ঢাকার রাস্তায় থাকবে নিত্যদিনের যানজট, রিকশার টুংটাং পথচলতি মানুষের মিছিল, মফস্বল থেকে আসা বোকা মুখের বিস্ময়।
রাজনীতির তুমুল তর্ক থাকবে, ক্ষমতার পালাবদল থাকবে, চলমান থাকবে বহুতল ভবনের নির্মাণ। থাকবে আজকের মতোই ভালোবাসা-বাসি। বিরহী প্রেমিকের বিষণ্নতা, অভিমানী প্রেমিকার কান্না। চলে যাবার পরেও থেমে থাকবে না সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত, জন্ম এবং সৎকার।
যে প্রিয় বইয়ে বারবার ছোঁয়াতাম তৃষার্ত আঙুল, তেমনি আর কারও আঙুল ছুঁয়ে যাবে আরেকটি বইয়ের পাতা।
শূন্য থাকবে না পানশালায় প্রতিদিনের নির্ধারিত চেয়ার জানালার পাশে, যেখানে বসে স্থবির আমি চলাচল শহর দেখতাম।
আমার মা সন্তান বিয়োগের দুঃখে চোখ ভাসাবেন জলে। প্রাকৃতিক নিয়মেই; দীর্ঘতর হবে আমার পিতার জায়নামাজে বসে থাকার স্থিতিকাল।
একমাত্র সহোদর নিঃসঙ্গ হতে হতে একসময় বুঝে যাবে একাকিত্বই জীবনের মৌলিক ভ্রাতা, ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়।
মেনে নিতে কষ্ট হবে প্রিয়তমা কন্যার, ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন আর স্বপ্নজুড়ে আমাকে দেখে সারারাত জেগে থাকবে বোবা কান্না নিয়ে। একসময়ে সেও বড়ো হবে, পিতাকে নিয়ে সযতনে রাখা কষ্ট-স্মৃতি ফিকে হয়ে আসবে নতুন স্বপ্নের উৎসবে। কোনো একদিন সুখী হবে আমার আত্মজা।
চলে যাবার পথে আমি দূর-দ্বীপবাসিনী দুটি চোখ দেখি, সেই চোখে আমি কোনো কান্না দেখি না। পেশাদারি ব্যস্ততা দেখি, সংসার সাজানোর নিত্য-নতুন আয়োজন দেখি।
কেবলমাত্র দুর্লভ অবসরে মীর্জা গালিব বা রবীন্দ্রনাথ যখন তার সঙ্গী তখন টের পাই আমার চলে যাবার পথে এক বিরল দীর্ঘশ্বাস, মুক্তার দানার মতো অশ্রুবিন্দু। আমি চলে যাবার পর পৃথিবীর আর কোনো ভাবান্তর দেখিনা ”।
আহ শাকিল ভাই, মৃত্যু নিয়ে আমরা কম বেশি অনেকে ভাবলেও, এভাবে কলমে তুলে আনা সাধ্য কার। কষ্টগুলোকে কলমে তুলে এনে কি অসাধারণ করেই না উনি অন্য একটা লেখায় বলে গেছেন…
এভাবে হারাই
আমাদের কিছু কষ্ট থাকে ডাস্টবিনে, কিছু থাকে
পুরোনো এই শহরের বাহান্নো গলিতে এলোমেলো,
দীর্ঘশ্বাসের মতো বাতাস হয়ে আরো করুন বাতাসে।
আমাদের কান্না থাকে অকূলপ্লাবী, পল্লব চোখ জুড়ে,
ফেলে আসা স্মৃতিরা ক্রমাগত ব্রহ্মপুত্র জলে হারায়।
মরে যাই, কেবলি মাটির মন্দিরে শুয়ে আজান শুনি,
কোনো এক সন্ধ্যায় আমি চিরতরে এভাবে হারাই।
শাকিল ভাইয়ের মৃত্যু ধরেই নিচ্ছি, এটা তার নিয়তি, তারপরও কখনও কখনও তার কাছের মানুষেরা যখন বলেন উনি নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন না, ডাক্তারের কাছে যেতেন না, তখন বড্ড অন্যরকম একটা আফসোস হয়, হায় অনেক বেশি বন্ধুর মাঝে থেকেও কি উনি উনার একান্ত জগতে ‘একা এবং একজন’ ছিলেন???!!!
এটা ঠিক ”মন খারাপের গাড়িতে” কেউ স্বেচ্ছায় চড়ে বসে না, নানান বর্ণের কষ্টের তাড়নায় বাধ্য হয়, কষ্টের কারণ বিবিধ, হয়তো আর্থিক, শারীরিক, মানসিক, সাংসারিক, কিংবা এই পৃথিবীর যে কোন আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা কোন না কোন অনাচারও ছুঁয়ে যায় কাউকে কাউকে খুব বেশি।
একটা মানুষ এবং তার একান্ত পৃথিবী এটা ব্যক্তি নিজেই ভাঙ্গে গড়ে প্রতিদিন, নিজের শিক্ষা রুচি ভালোলাগা মন্দ লাগা দিয়ে!!! মন খারাপ হয় আমারও, যখন হয় খুব বেশিই হয় খুব হাসিখুশি থাকি বলে, একটু মন খারাপ হলে কাছে থাকা কেউ না কেউ চোখ মুখ দেখেই জিজ্ঞেসও করে ”আমি ঠিক আছি কি না”। আমার খুব অপরাধী লাগে তখন, আমার মন খারাপ নিয়ে কেউ ভাবুক বা অন্য কাউকে সেটা ছাপিয়ে যাক আমি এটা একদমই চাইনা, কখনও চাইতাম কিনা মনে নেই আমার।
কারণ একটা সময় পর থেকে আমি আমার সবটুকু দিয়ে সবখানেই শুধু চেষ্টা করেছি জীবনের স্বাভাবিকতা বা সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে, কাছের মানুষেরা আমার কাছে আশাও করে এটাই কেবল, তাই নো ব্যক্তিগত হতাশা!!! জীবনের সবকিছু খুব কাঙ্খিত হয়নি, এটা অনেকেরই হয়না!!! কিন্তু বিষয় হচ্ছে মানুষটা তার না-পাওয়া বা দুঃখগুলোকে আগলে রেখে জীবন’কে কোন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখছে বা দেখতে চাইছে বা পারছে!!!
মন খারাপ হলে আমি আবার জীবনে ফিরি খুব অল্প কিছু পেলেই। কাজের মাঝে হয়তো লাঞ্চ ব্রেকে একটা জায়গায় বসে আছি, আশা পাশে খুব নীরবে দেখি লোকেদের জীবন। একটা বাচ্চা হয়তো খুব আদরে মা’কে বারবার জড়িয়ে ধরছে, তাই দেখেই আমার চোখে পানি আসার মতো মন ভালো হয়ে যায়। হঠাৎ হয়তো দেখছি কফি পাশে এক তরুণ সামনে ল্যাপটপ নিয়ে কোন এক ক্লায়েন্টকে হাত নেড়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে কিছু একটা, আমি মুগ্ধ হয়ে যাই সেই তরুণে, জীবনে থাকা ঝকঝকে তরুণ। আবার হয়তো কোন মানুষই টানে না, একটা বিকেলে ছোট্ট বারান্দায় এক কাপ চা হাতে পাখিদের ঘরে ফেরা দেখেই বলে উঠি আহ বেঁচে থাকা, যে কতদিন বেঁচে আছি জীবনকে ভালোবেসেই বাঁচতে চাই, কাছের মানুষেরা সবাই আগে একদম নিজের পৃথিবীটাকে ভালোবেসে বাঁচতে শিখুক একটা জীবন… বন্ধু ততক্ষণ কেউই হতে পারেনা, যদি না মানুষটা নিজের ভালোবাসাতেই মত্ত থাকে প্রতিক্ষণ!!!
২০ ডিসেম্বর ২০১৬ শাকিল ভাইয়ের আরো একটি জন্মদিন, উনি নিজেই বলেছিলেন ‘আমার না থাকা জুড়ে থাকবো আরো বেশি আমি’’!!! উনি কি বুঝে গিয়েছিলেন কতোটা জুড়ে উনি কত বেশি মানুষের হৃদয় জুড়ে জায়গা করে নিয়েছেন!
শাকিল ভাই আপনি ঘুমাতে চেয়েছিলেন, আপনি নিঃসন্দেহে অনেক দৃঢ় ছিলেন কিন্তু ক্লান্তও ছিলেন বোধ হয়, তাইকি এমন লিখেছিলেন
‘খুব বেশি ঘুম দরকার, অনেক ঘুম। যে ঘুমে পাড়ি দেয়া যায় জগত-সংসার, কাজ, ভাড়া করা জীবন, বিরহ, ভুল ভালোবাসা, যৌবন, কৈশোর এমনকি লালজামা শৈশব। এমন দীর্ঘ ঘুম যা নিয়ে যাবে মায়ের গর্ভের ওমমাখা আদরে। ঘুম খুঁজছি, তৃপ্তিময় সেই ঘুম, পরম আরাধ্য।
আপনাকে কিছু মানুষ আমৃত্যু তাদের একান্ত পৃথিবীতে খুব প্রিয় একটা জায়গায় বসিয়ে রাখবে, মিস করবে, আপনি তা দেখে হাসছেন কি স্বর্গীয় কোন হাসি…. শান্তিতে ঘুমান আর কিইবা বলার আছে!!!
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)