ক্রীড়া সাংবাদিক মহল আর ঘনিষ্ঠজনদের ততক্ষণে জানা হয়ে গেছে। কিন্তু সেটা আনুষ্ঠানিকতার আগে গণমাধ্যমে জানানোর সুযোগ ছিল না কারো। অবশেষে আনুষ্ঠানিকতাও সারলেন মাশরাফি। টসের সময় অবসরের ঘোষণা। কিছুপর নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় লিখলেন, তরুণদের সুযোগ দিতেই এই অবসর। আর ম্যাচ শেষে টাইগার দলের আগামীর জন্য জানালেন শুভকামনা। দৃঢ়চিত্তে বলে গেলেন, মাশরাফির থেকে দেশ অনেক বড়।
প্রেমাদাসায় দুই টি-টুয়েন্টির সিরিজের প্রথমটিতে ৬ উইকেটে হেরে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। তার আগে মাশরাফির ওই অবসরের ঘোষণা নিয়ে বিস্তর আলোচনা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে যে সেটি নিয়ে আরো প্রশ্ন ছুটে আসবে ধারনা করাই যাচ্ছিল। হলোও সেটাই। তাতে মাশরাফি’য় ঢঙেই খেললেন টাইগার দলপতি।
অবসর ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে কেমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছেন সেটি নিয়ে বিস্তারিত হয়তো কোন স্মৃতি কথার জন্য তুলে রাখলেন। তবে অবসরের সিদ্ধান্ত ম্যাচে যে কোন প্রভাব ফেলেনি সেটি স্পষ্টই জানালেন। মাশরাফি কথায়, ‘সিদ্ধান্ত-পরিস্থিতি যাই হোক, মাঠে নামার পর বাংলাদেশ জিতবে শুধু এই ভাবনা-চেষ্টাটাই থাকে। অন্য কোন কারণে সেটি ম্যাচে প্রভাব ফেলে না। সেটা আমার অবসরের সিদ্ধান্ত বা অন্য যেকোনো কারণেই হোক। কেননা, মাশরাফির থেকে দেশ অনেক বড়।’
অবসর সিদ্ধান্তের জন্য তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার কথাটাই ঘুরেফিরে বললেন ম্যাশ। সঙ্গে থাকল আগামীর জন্য শুভকামনা। নতুন যিনি অধিনায়কের আসনে বসবেন, তার জন্যও শুভকামনা জানিয়ে গেলেন। তিনি যখন সংবাদ সম্মেলনে এসব বলছেন, ততক্ষণে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বরাতে জানাজানি হয়ে গেছে, সাকিব আল হাসানই হতে যাচ্ছেন মাশরাফির টি-টুয়েন্টি চেয়ারের উত্তরসূরি।