নিকট অতীতে বাংলাদেশ-ভারতের বেশ কয়েকটি ম্যাচে ছড়িয়েছে টানটান উত্তেজনা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমির মঞ্চে কোন উত্তেজনাই টের পাওয়া গেল না। জয়ের প্রতিজ্ঞায় বলীয়ান হয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। অথচ মাঠে রাখা গেল না তার ছাপ। সমস্যাটা আসলে কোথায়?
টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার উপলব্ধি, স্কিল ঠিক থাকলেও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে এখনও পিছিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মানসিক শক্তি বাড়িয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে সামনের দিনগুলোতে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা ঝরল তার কণ্ঠে।
এজবাস্টনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হারের পর মাশরাফি বললেন, ‘আমাদের শেখার আছে। স্কিলের দিক থেকে আমরা ঠিক আছি, কিন্তু মানসিকভাবে আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। এ ধরনের ম্যাচে মানসিকভাবে শক্ত না থাকলে ভালো কিছু করা যায় না। এ দিকটায় আমাদের চোখ রাখতে হবে। আমাদের এই টিমে অনেক তরুণ ক্রিকেটার ছিল, অভিজ্ঞরাও ছিল। আশা করি সামনের সময়ে আমরা শক্তিশালী হয়েই ফিরব।’
বড় ম্যাচ মানেই মানসিক শক্তির কঠিন পরীক্ষা। যেখানে পাস নম্বর পায়নি বাংলাদেশ। যেখানে তিনশ রান পার হয় অনায়াসে, সেখানে স্কোরবোর্ড থামে ২৬৪ রানে। ভারত এই রান তাড়া করে জিতেছে ৫৯ বল হাতে রেখেই, সেও মাত্র এক উইকেট হারিয়ে।
উইকেট যেমন ছিল তাতে ৩০০-৩২০ রান হতে পারতো; এমনটাই মনে করছেন মাশরাফি, ‘উইকেট খুব ভালো ছিল। ৩০০ করা উচিত ছিল। এমনকি ৩২০ হতে পারতো। কেদার যাদব আমাদের সেট দুই ব্যাটসম্যানকে দ্রুত ফিরিয়ে সেটি হতে দেয়নি।’
৩ উইকেটে ১৭৭ থেকে হঠাৎ পাল্টে যায় স্কোরবোর্ডের চেহারা, ৫ উইকেটে ১৭৯। তামিমের বিদায়ের পর যাদবের অফস্পিনে দ্রুত সাকিব ও মুশফিক বিদায় নিলে প্রত্যাশিত সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ। সেটার খেসারতই দিতে হয়েছে ম্যাচ হেরে।