তাড়াহুড়া না করে নিজেদের মানসিকতা ঠিক রেখে ম্যাচ জিততে চেয়েছিল ফ্রান্স। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এ কথা জানান দলটির কোচ দেশম।
দেশম বলেন, ‘আমরা বড় আকারে ম্যাচ খেলতে চাইনি। কিন্তু মানসিক শক্তি দেখিয়েছি। যেকোনো প্রকারে চারটি গোল করেছি। জয় তো আমাদের প্রাপ্য।’
ফ্রান্স এদিন ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ফরাসিদের হয়ে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতলেন দেশম। ১৯৯৮তে বিশ্বকাপ জেতার সময় অধিনায়কও ছিলেন তিনি। তার আগে এমন কীর্তিতে নাম লেখাতে পেরেছিলেন কেবল দুজন- ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও জার্মানির ‘কাইজার’ ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার।
ম্যাচ শেষে দেশম বলেন, ‘দলটা তরুণ। কেউ কেউ ১৯ বছরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল। আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছি বলেই সম্ভব হয়েছে।’
ক্রোয়েশিয়ার মানজুকিচ এদিন প্রথমে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন। এরপর পেরিসিচ তাদের সমতায় ফেরান। ক্রোয়েশিয়া আবার পিছিয়ে পড়ে পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে পগবা এবং এমবাপে আরও দুই গোল করেন। শেষদিকে মানজুকিচ এক গোল শোধ দিলেও যথেষ্ট ছিল না।
ফ্রান্স মূলত বড় ম্যাচের আবহাওয়া বিবেচনায় সতর্ক ফুটবল খেলতে চেয়েছে। আর সেটি করেই তারা বাজিমাত করেছে। খুব বেশি তাড়াহুড়া না করে কাউন্টার অ্যাটাকে নজর দেয় তারা।