প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবিক কারণে সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের স্থান দেয়া হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাতারবাড়ী ১২শ’ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য ভাষানচরে অস্থায়ী বসবাসের স্থান গড়ে দিচ্ছি আমরা। পরে ওরা চলে গেলে সেগুলো দেশের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। ওখানকার স্থানীয় জনগণের খাদ্য যোগান ও অন্যান্য বিষয়েও নজর রাখছি আমরা।
জাপানের বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ টেনে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, অনেক বাধা পেরিয়েও জাপান আমাদের দেশে সহযোগিতা এসেছে সেজন্য ধন্যবাদ। আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য চেষ্টা করে যাবো। তবে এলাকার জনগণ ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা তাদের নিরাপত্তার দিকে নজর দিবেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি গড়ার জন্য জাপানের শিশুরা তাদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে বাংলাদেশকে দিয়েছিলো। আজও সেই বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। দেশের সব ধরনের উন্নয়নের কাজে জাপান পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সব উন্নয়নে জাপানের ছোঁয়া পাই। তাই জাপানের বন্ধুত্বকে খুব গুরুত্ব দিই আমরা।
মহেশখালির পান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় মহেশখালিতে পান ছাড়া আর কোনো আয়ের উৎস ছিলো না। মহেশখালির পান শেফালি ঘোষের গানে আরো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখানকার পান আসলেই মিষ্টি। আমিও সুযোগ পেলে সেই পান খাই। আজ মহেশখালী দ্বীপে আমরা যা করছি তাতে তাদের আরো বেশি উন্নয়ন হবে। প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যারা ক্ষতির শিকার হয়েছেন আমরা তাদের ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা নিবো। যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে কিন্তু এখনও টাকা পাননি সেই বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। কেউ বঞ্চিত হবে না। এখানকার পর্যটন আরো উন্নত করা হবে।
দেশের যে কোনো উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, আমি হতাশার লোক না, আমি আশাবাদী। আইন করে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম বলেই সরকারি বেসরকারিভাবে সবাই বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করছে।