মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের আইজিকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। আদেশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে ৪০ দিন পর পর প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
পলাতকদের গ্রেফতার করতে না পারায় আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন অনুপস্থিতিতে বিচার হলে ন্যায় বিচার ব্যাহত হতে পারে।
১২ মে যশোরের ১১ রাজাকারের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর বিল্লাল হোসেন, ওজিয়ার মোড়ল, আকরাম হোসেনকে গ্রেফতার করে হাজির করার পর তাদের কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল-১। এর পরেই ট্রাইব্যুনাল বাকিদের গ্রেফতার কেন করা যায়নি তা জানতে চান প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কের কাছে। তাদের বক্তব্য শোনার পর আদালত বলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ওই আসামীরা ছাড়াও বিচারাধীন আসামী ক্যাপ্টেন নাসির, হাসান আলী এবং সাজাপ্রাপ্ত খোকন রাজাকার, আবদুল জব্বার পলাতক থাকলেও তাদেরসহ অন্যদের গ্রেফতারে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও শৈথল্যতা আছে বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন।
অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ বলেন, ট্রাইব্যুনাল একটি সুয়োমুটো আদেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিকে বলেছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠনের জন্য। যেন মানবতাবিরোধী অপরাধে যতগুলো গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে তা যেন যথাযথভাবে কার্যকর হয়।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান ট্রাইব্যুনালের কাছে আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার মৌখিক আবেদন জানানোর বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যদি একটি মনিটরিং কমিটি গঠন হয় তাহলে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। তবে তিনি মনে করেন এটি সবসময় কাজে লাগবেনা। কারণ তদন্তচলাকালীন একটি আসামীকে গ্রেফতার করা একটি তদন্ত কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে।
এর পরেই কিশোরগঞ্জের রাজাকার আইনজীবী শামসুদ্দিন আহমেদ ও পলাতক ক্যপ্টেন নাসির, রাজাকার কমান্ডার আব্দুল মান্নানসহ ৫ জনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-১। পরে পলাতকদের বিষয়ে ৩১ মে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত।