চার মাস পর বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলেছে। করোনা বিরতি কাটিয়ে নতুন করে মিলছে মাঠের সুবাস। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদ তাই আনন্দে আত্মহারা।
বুধবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের সবুজ চত্বরে রোলার টেনে ফিটনেসের কাজ করেছেন রুমানা। মাঠে রানিং শুরু করেছেন আরও কয়েকদিন আগে। অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনুশীলনের ভিডিও পোস্ট করে টাইগ্রেস অধিনায়ক জানান দিয়েছেন নতুন শুরুর।
ব্যক্তিগত অনুশীলনে রুমানার ট্রেনারের ভূমিকায় ছিলেন ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে খেলা সুলতানা ইয়াসমিন বৈশাখী। ৩০ বছর বয়সী এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ট্রেনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান। সে লক্ষ্যে শুরু করেছেন মাঠের কাজ।
ফিটনেস অনুশীলন শেষে চ্যানেল আই অনলাইনকে রুমানা বললেন, ‘মাঠে ফিরতে পেরেছি এটা অনেক আনন্দের। শুকরিয়া। খুব ভালো লাগা অনুভব করছি। সকাল সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত কাজ করলাম। আগামী কয়েকদিন এই রুটিন চলবে। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা হচ্ছে। কিছুদিন পর ব্যাটিং-বোলিং করার সুযোগও মিলবে।’
খুলনায় নিয়মিত অনুশীলন করে চলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান। তাদের অনুশীলনের ফাঁকে ইনডোরে একটা সেশন মেয়েদের জন্য রাখার কথা ভাবছে বিসিবি। নারী দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার খুলনার হওয়ায় সুবিধা দেখছে বোর্ড। সেখান থেকেই হতে পারে মেয়েদের ক্রিকেটে ফেরার আনুষ্ঠানিক শুরু।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করে ৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার পর দল হয়ে আর মাঠে নামা হয়নি জাহানারা-সালমা-রুমানাদের। জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটাররা এখনো বিচ্ছিন্ন। তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়।
বিসিবির অধীনে মেয়েদের ক্যাম্প শুরু হতে পারে আগস্টে। জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় বিশ্বকাপ বাছাই পিছিয়ে যাওয়ায় সামনে আর আন্তর্জাতিক সিরিজের সূচি নেই। ঘরোয়া লিগ নিয়েই ভাবতে হচ্ছে তাদের। বর্তমান বাস্তবতায় সেটিও অনেক দূরের পথ।