প্রথমে বোলাররা, পরে ব্যাটসম্যানরা, আবার বোলাররা; বেসিন রিজার্ভে এই তিনের পালাবদলে সাউথ আফ্রিকার মুখে হাসি। দ্বিতীয় টেস্টে ৮ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে প্রোটিয়ারা। প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছিল।
ঘরের মাঠে মান বাঁচাতে নিউজিল্যান্ডকে শেষ টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। ২৫ মার্চ হ্যামিল্টনে গড়াবে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটি।
দারুণ এই জয়ের পথে বল হাতে রাজত্ব করেছেন কেশভ মহারাজ। ডানেডিনে ড্র টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ওয়েলিংটনে বাঁহাতি প্রোটিয়া স্পিনারের দখলে ৬ উইকেট। ২০.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে রানও খরচ করেছেন মাত্র ৪০টি। বোঝাই যাচ্ছে তার বলে কতটা হাসফাঁস করছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা।
যেটি দারুণ এক কীর্তির পাশে বসিয়ে দিয়েছে মহারাজকে। ৪৪ বছর পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোন সফরকারী স্পিনার পরপর দুই টেস্টে ৫ উইকেট করে পেলেন তার হাত ধরে। আগের কীর্তিটি ইন্তিখাব আলমের, সেই ১৯৭৩ সালে, ডানেডিনে। প্রথম ইনিংসের দুই উইকেটের সঙ্গে তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিও মহারাজের।
মাহারাজের দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭১ রানে গুটিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। জিত রাভাল ৮০, নেইল ব্রুম ২০, বিজে ওয়েটলিং ২৯ রানে ফিরেছেন। বাকিদের আর কেউ দুই অঙ্কের কোটা পেরোতে পারেননি।
মরনে মরকেল ৩ উইকেট নিয়ে মহারাজকে সঙ্গ দিয়েছেন। অন্য উইকেটটি কাগিসো রাবাদার।
নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৮১ রানের লক্ষ্য পরে ২ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে সাউথ আফ্রিকা। স্টিফেন কুক ১১ ও ডিন এলগার ১৭ রানে ফিরে গেলেও হাশিম আমলা ৩৮ এবং জেপি ডুমিনি ১৫ রানে তীরে নোঙর ফেলেই মাঠ ছেড়েছেন।