বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।উৎক্ষেপণ উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জাতিকে অভিনন্দন জানান।
মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির জন্য গর্বের মন্তব্য করে বলেন: বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় আজকে আরও একটি মাইলফলক যোগ হলো।
বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে আমরা মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছি।
দেশের জন্য গৌরব-আনন্দের এই মুহুর্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং নির্যাতিতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
সদ্য স্বাধীনদেশে বঙ্গবন্ধু মহাকাশযাত্রার স্বপ্নের সূচনা করে গিয়েছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন: স্বাধীনতার মাত্র ৩ বছরের মাথায় ১৯৭৪ সালে তিনি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করেন। আজ আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরেকধাপ এগিয়ে গেলাম।
এর আগে অপেক্ষার প্রহরের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছে দিতে যাত্রা শুরু করে স্পেসএক্সের ফ্যালকন নাইন ব্লক ফাইভ রকেট।
উৎক্ষেপণের ৩৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কে জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিট বা কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছে স্পেসএক্সের ফ্যালকন নাইন রকেটের স্টেজ-টু।
এখন স্যাটেলাইটটি মহাকাশের ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের অরবিটাল স্লটে কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায়। নিজস্ব অরবিটাল স্লটে কার্যকর হতে সময় প্রায় ১ মাস সময় লাগতে পারে।
কেনেডি স্পেস সেন্টারের ঐতিহাসিক লঞ্চ প্যাড ৩৯-এ থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের মহাকাশ জয়যাত্রা শুরু হয়। যে লঞ্চ প্যাড থেকে ১৯৬৯ সালে চন্দ্রাভিযানে রওনা হয়েছিল অ্যাপোলো-১১ সেই একই জায়গা থেকে তিন হাজার ৫০০ কেজি ওজনের জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ শুরু করে মহাকাশে পৌছানোর মহাযাত্রা।