স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্বার্থেই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেন তার দল আওয়ামী লীগ এবং সরকারি জোটভুক্ত কয়েকজন নেতা। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভায় যে কোনো সময় রদবদল আনতে পারেন এবং তিনি সেটা করেছেন।
যেহেতু সৈয়দ আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করাটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার এবং সিদ্ধান্ত তাই সুস্পষ্ট কারণ সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা নেই বলেই জানালেন নেতারা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, সৈয়দ আশরাফ একজন পরিচ্ছন্ন লোক। তিনি শুধু ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যই নন, নিজেও রাজনীতিবিদ। এখন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় এটা হয়েছে। তিনি কেনো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বোঝা যাচ্ছে না।
‘তবে এতে সরকার এবং দলের কোনো ক্ষতি হবে না,’ বলে মনে করেন আগের মন্ত্রিসভায় রেলপথ মন্ত্রী থেকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হওয়া করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ‘বরং তিনি (আশরাফ) এখন থেকে দলে বেশি করে সময় দিতে পারবেন ‘
নাম প্রকাশ না করে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা বলেন, নিষ্ক্রিয় মন্ত্রীকে সরিয়ে দিলে তো কোনো আসুবিধা বা ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। এতে বরং সরকার ও দলের জন্যই ভালো হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ওপর অনেক দায়িত্ব দিয়েছিলেন; কিন্তু সেই দায়িত্ব তিনি সঠিকভাবে পালন করেননি।
জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সামগ্রিক উন্নয়ন এবং সরকারের কার্য পরিচালনার স্বার্থে মন্ত্রিসভায় রদ-বদল হতেই পারে। এটা রুটিন ব্যাপার।
‘রাজনীতির সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি সরকার পরিচালনা সংক্রান্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারভুক্ত,’ বলে চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে মন্তব্য করেন হাসানুল হক ইনু।
আর সৈয়দ আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নন বলে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করবেন না বললেও ব্যক্তিগত অভিমত জানিয়েছেন ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, এমপি।
তিনি বলেন: এটা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানি না। তবে প্রধানমন্ত্রী হয়তো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।