স্কুলপর্যায়ে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজার ও মর্ডানার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কোভ্যাক্স জোট থেকে শিশুদের জন্য আরও ভ্যাকসিন পাঠালে অতি সত্বর স্কুল শিক্ষার্থীদেরকে সরকার ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে বর্তমানে ৬০ লাখ মর্ডানা ও ফাইজারের ভ্যাকসিন হাতে আছে। কোভ্যাক্স থেকে মর্ডানা ও ফাইজারের আরও ভ্যাকসিন আসবে বলে আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
সরকারের হাতে থাকা ৬০ লাখ ভ্যাকসিন ৩০ লাখ স্কুল শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো স্কুলও শিশু শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিয়ে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করবে।
আইসিটি মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ভ্যাকসিনের নিবন্ধনে সহায়তা করবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রত্যাশামত ভ্যাকসিন পেলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ৮ কোটি মানুষকে দুই ডোজ বা ৫০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে। আগামী মার্চে আরো চার কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিলে ১২ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পাবে এবং তখন প্রায় ৭০ ভাগ মানুষের করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, নভেম্বরে পৌনে চার কোটি ডোজ ভ্যাকসিন থাকবে সরকারের হাতে। সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন থাকবে ডিসেম্বরে, প্রায় পাঁচ কোটি ডোজ। দৈনিক ৪-৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
ভ্যাকসিন আসার নিশ্চয়তা থাকায় এবং হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকায় প্রতিদিন ১০-১২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে।