ভোলা ও শেরপুরে বোরো ধানে ক্ষতিকর পোকা দমনে জৈব বালাইদমন পদ্ধতিতে ক্ষেতে গাছের ডাল পুঁতে পার্চিং উৎসব শুরু হয়েছে। কৃষক জানান, এটি একদিকে যেমন বিষমুক্ত পদ্ধতি অন্যদিকে রক্ষা পাচ্ছে ক্ষেতের ফসল।
ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজমুদ্দিন, চরফ্যাশন এ ছয় উপজেলায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। ক্ষেতে পোকা দমনে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে বোরো ক্ষেতে জৈব বালাইদমন পদ্ধতি বা পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার চলছে। সব ক্ষেতেই শোভা পাচ্ছে সহজলভ্য গাছের ডাল।
কৃষি বিভাগ জানায় ভোলার সব এলাকায় পার্চিং শুরু হওয়ায় কমছে ফসলের উৎপাদন খরচ।
শেরপুরের নকলা উপজেলায় গৌড়দ্বার ইউনিয়নের পাইশকা বিশ্বরোডের মোড় থেকে উত্তরে গড়ের গাও এবং পশ্চিমে নকলা পৌরসভা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় বোরো ধান ক্ষেতে বাঁশ ও গাছের খুঁটি পুঁতে এ পার্চিং করছেন কৃষক।
নকলা উপজেলার পাইশকা এলাকায় এবং নালিতাবাড়ির বাঘবেড় এলাকায় পার্চিং উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ। কৃষি বিভাগ জানায়, পার্চিং পদ্ধতির সঠিক ব্যবহার করা গেলে জেলায় ১০ কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব হবে।