কঞ্জুস এর ৭০০ তম প্রদর্শনীতে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘ভালো নাটক হলে দর্শক আসে। এতে কোন ব্যতয় হয়না।’ তিনি আরো বলেন, ‘শিল্পকলার ৩টি মঞ্চে প্রতিদিনই কোন না কোন নাটক মঞ্চায়িত হয়। কিন্তু তার সবগুলো গুণগত মানসম্পন্ন নয়। আমাদের ভালো ও গুণগত মানসম্পন্ন নাটক নির্মাণে আরো মনোযোগী হতে হবে।’
কঞ্জুস নাটকের মঞ্চায়ন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় শুক্রবার সন্ধ্যায় লোকনাট্য দল তাদের নাটক ‘কঞ্জুস’ মঞ্চস্থ করে। ফরাসী নাট্যকার মলিয়ের এর দ্যা মাইজার অবলম্বনে কঞ্জুস নাটকটির বাংলায় রূপান্তর করেন নাট্যকার তারিক আনাম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর আরো বলেন, জনপ্রিয় হলেই ভালো নাটক হবে এমনটি নয়। কঞ্জুস নাটক এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এটি যেমনি জনপ্রিয়, তেমনি একটি মানসম্পন্ন নাটক।
সরকার সারাদেশে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে ঢাকার উত্তরা ও মিরপুরে শিল্পকলা একাডেমির শাখা খোলা হবে। তাছাড়া ঢাকার হাতিরঝিলে ঢাকা অপেরা হাউস নামে একটি সুবিশাল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে যা নির্মিত হলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় পরিণত হবে।
লোক নাট্যদলের অধিকর্তা, কঞ্জুস এর নির্দেশক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসী দূতাবাসের উপ-প্রধান জ্যঁ পিয়ের প্যসে, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এবং বিশিষ্ট নাট্যকার অধ্যাপক ড. আব্দুস সেলিম।
১৯৮৩ সালে নাটকটি মঞ্চে আসে। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ধারবাহিক ভাবে মঞ্চস্থ হয়। এরপর তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে মঞ্চস্থ হয়ে আসছে নাটকটি। ০ বছর ধরে নাটকটি মঞ্চায়ন করছে লোক নাট্যদল। ১৯৮২ সালে ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) থেকে বেশ কজন নাট্যকর্মী পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাট্যদল’ নামের একটি মঞ্চনাটকের দল। এর মধ্যে ছিলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ, তারিক আনাম খান, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, গোলাম সারোয়ার, লিয়াকত আলী লাকী, কামাল উদ্দিন নীলু প্রমুখ।