ভারতের পাঁচটি প্রদেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে আজ শনিবার। নির্বাচনগুলোকে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নির্বাচনের ফলাফলে সবার চোখ থাকবে মূলত উত্তর প্রদেশের দিকেই। এটি ভারতের সবচেয়ে জনবহুল এবং রাজনৈতিকভাবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ।
মোদির রাজনৈতিক দল বিজেপি এই নির্বাচনে, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে শক্তিশালী দুই আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ, ক্ষমতাশালী সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-এর বিপক্ষে বেশ জোরেসোরেই প্রচারণা চালিয়েছে। ভোট দিয়ে বের হওয়া ভোটারদের দেয়া তথ্য অনুসারে, প্রাদেশিক এই নির্বাচনে বিজেপি-ই জিততে যাচ্ছে।
তবে এই তথ্যের ওপর তেমন একটা ভরসা সংশ্লিষ্ট কেউই করছেন না। কেননা ভোট পরবর্তী তাৎক্ষণিক তথ্য পরবর্তীকালে বহুবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি তার দলের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি অনেকটা আগ্রাসীভাবেই প্রচারণা চালিয়েছেন। প্রচারণায় মোদি বারবার অঙ্গীকার করেছেন প্রদেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন আনার এবং দুর্নীতিকে মূল থেকে ধ্বংস করার।
উত্তর প্রদেশের মতো দারিদ্র্যপীড়িত একটি প্রদেশ, যেখানে বর্ণ এবং পারিবারিক ও ধর্মীয় বৈষম্য সমাজের গভীরে গাঁথা, সেখানে এই প্রতিজ্ঞাগুলো খুব বেশিই বড় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তাছাড়া মোদির নিজস্ব জাতীয়তাবাদ এবং হিন্দুপন্থি রাজনীতি সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। পাশাপাশি দুর্নীতি দমনে উচ্চ মূল্যমানের নোট রাতারাতি বাতিল করার ঘটনাতে প্রদেশটিতে অনেক বেশি ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।